গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় প্রধান শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ ভাড়ায় কেরাম খেলায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা গৈলা ইউনিয়ননের উত্তর শিহিপাশা গ্রামে কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর আহত শিক্ষককে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের আমিনুল ইসলাম বালী (২২)উত্তর শিহিপাশা চকিদার বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের সন্নিকটে দোকানের সামনে ভাড়ায় কেরাম খেলা পরিচালনা করে আসছিল। দিন রাত এ খেলার প্রতি এলাকার কিশোর ও স্কুল ছাত্ররা ঝুকে পড়ে এবং দিন দিন এ সংখ্যা বাড়তে থাকে। স্থানীয় বশির আহম্মেদ, আব্দুস সোবাহানসহ কয়েকজন অভিভাবক বিষয়টি কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ঘরামী(৪০)র কাছে জানান। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি কয়েকদিন পর্যবেক্ষন করার পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কেরাম মালিক আমিনুল ইসলামকে ভাড়ায় কেরাম খেলা বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। আমিনুল শিক্ষকের কথায় কর্নপাত না করে কেরামবোর্ড খেলা অব্যহত রাখেন। আহত প্রধান শিক্ষক জানান, তার বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিশুরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে সকাল বিকেল কেরাম খেলায় মনোযোগী হয়ে পড়ে। তিনি একাধিকবার খেলা বন্ধ করতে আমিনুল ইসলঅমকে অনুরোধ করা সত্বেও কেরাম খেলা বন্ধ না করায় শনিবার বিকেলে কেরামটি ফেলে দেন। এতে কেরাম বোর্ডটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কেরাম মালিক আমিনুল তার উপর ক্ষিপ্ত হন।
জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কেরাম ফেলে দেয়ার জের ধরে শনিবার রাতে আমিনুল ইসলাম বালী মুঠোফোনে কল করে আমাকে বাজারে আসতে বলেন। আমি বাজারে পৌছামাত্রই আমিনুল ও তার সহযোগী যুবক শামীম ফকির, আমিন ফকির ও এচাহাক ফকিরসহ ৪/৫ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, শিক্ষকের ডাক চিৎকার শুনে তারা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতির্ করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোখলেচুর রহমান জানান, শিক্ষকের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতসহ একাধিক ফুলা জখম রয়েছে। প্রচুর রক্ষক্ষরন হযেছে তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
অভিযোগের ব্যপারে আমিনুল ইসলাম বালীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেরাম খেলতে এসে যারা খেলতে পারেনি ওইসব যুবকরা হামলা চালিয়েছে। এতে আমার কোন হাত নেই। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস, এম, আফজাল হোসেন জানান, শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তার স্ত্রী নাসরিন বেগম বাদি হয়ে আমিনুল ইসলাম বালী, শামীম ফকির, আমিন ফকির ও এচাহাক ফকিরসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনায় জড়িত এজাহারভূক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।