গৌরনদী
সংবাদ সংস্থা ফোকাস বাংলার চেয়ারম্যানের গৌরনদীস্থ বাড়িতে যুবলীগ নেতার হামলা ভাঙচুর লুট, আহত-৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ প্রতিপক্ষের লোকজনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সংস্থা ফোকাস বাংলার চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনের গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের বাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় চার জন আহত হয়েছে। গুরুতরভাবে আহত এক জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের মজিবুর রহমান হাওলাদারের পুত্র ও হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনির ছাত্র মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মো. জাহ্ঙ্গীর মোল্লার ভাতিজা ও আগরপুর কলেজের ছাত্র শান্ত মোল্লা(১৯)র বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার হোসনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা চলাকালীন সময়ে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে শান্ত মোল্লার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আমিনুল ইসলাম হোসনাবাদ টেম্পু ষ্টা-ে পৌছলে তার উপর একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে আমিনুল ইসলাম ছুটে দৌড়ে আত্ম রক্ষার চেষ্টা চালায়।
আহত আমিনুল ইসলাম ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টেম্পু ষ্টান্ডে পৌছলে শান্ত মোল্লার চাচা সরিকল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা(৪০)র নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালায়। জীবন রক্ষার্থে এক পর্যায়ে আমি ছুটে দৌড়ে ফোকাস বাংলার চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনের বসত ঘরে আশ্রয় নেই। সেখানে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়।
ফোকাস বাংলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মো. কাওছার হোসেন (৪০) অভিযোগ করে বলেন, বিপদগ্রস্থ আমিনুল ইসলাম জীবন রক্ষায় দৌড়ে আমাদের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসী নাসির মোল্লার নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আমিনুলকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতরভাবে জখম করেছে। আমাদের ঘরে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে সন্ত্রাসীরা ঘরের জানালা দরজা ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করে। এক পর্যায়ে চলে যাওয়ার সময় নগত টাকা, স্বর্নালংকার ও মূল্যবান মালামালসহ প্রায় চার লাখ টাকার মাল লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাকে, আমার চাচা তালেব সিকদার(৬০), চাচি তাসলিমা বেগম(৪০)কে মারধর করেছে। গুরুতরভাবে আহত আমিনুল ইসলামকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অবনতি ঘটলে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ব্যপারে নাসির মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি হামলা লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলায় আমি জড়িত না, ভাতিজা শান্ত লোকজন নিয়ে তার প্রতিপক্ষ আমিনুলকে খুজতে গিয়ে সামান্য কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমি হামলাকারীদের ফিরিয়ে আনতে ঘটনাস্থলে যাই এবং ফিরিয়ে আনি। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।