প্রধান সংবাদ
উজিরপুরে মেজর এম,এ জলিলের স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জলিল তনয়া ব্যরিস্টার সারাহ্ জলিল সহ সকল রাজনৈতিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ২০১৬ উপলক্ষে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম,এ জলিলের স্মৃতি স্তম্ভে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার কন্যা ব্যরিস্টার সারাহ্ জলিল ও তার স্বামী ব্যারিস্টার রোমেল চৌধুরী। দিনের প্রথম প্রহরে এই স্মৃতিফলকে একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রসাশন, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন, পৌর মেয়র, থানা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, মেজর এম, এ জলিল পরিষদ, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, উজিরপুর প্রেসক্লাব, বি,এন,খান কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সকাল ১০ টায় ডবি¬উ বি,ইউনিয়ন মাঃ বিঃ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ডিসপ্লে¬ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল। সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালার সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধণা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল- ২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড: তালুকদার মোঃ ইউনুছ বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল, আ’লীগের সভাপতি এস,এম জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ ওয়াদুত সরদার, ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম(পিপিএম) প্রমুখ।
তবে স্মৃতিফলকে ফুল দিতে এসে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পরেন নেতৃবৃন্দ তাদের সামনেই সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা ফলকের স্থান পরিস্কারের কাজে ব্যস্থ ছিলেন। এজন্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মচারিদের ধমকও দিয়েছেন। অপরদিকে যার জন্ম না হলে দক্ষিণ বঙ্গের স্বাধীনতার সূচনা হতনা সেই বীর সেনানী ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম,এ জলিলের দাওয়াত কার্ডের কভার পাতায় প্রতিবছর তার ছবি থাকলেও এ বছর ছবি না থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মুক্তিযোদ্ধারা জানান মেজর এম,এ জলিল ছাড়া এই অঞ্চলের স্বাধীনতা সম্ভব হতো না। তার কন্যা ব্যরিস্টার সারাহ্ জলিল জানান লেখাপড়ার জন্য বিদেশে অবস্থান করার কারণে এলাকায় এসে বাবার স্মৃতি ফলকে ফুল দেওয়ার সৌভাগ্য হয়নি, আজ ফুল দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তবে তাকে মুক্তিযোদ্ধার সর্বোচ্চ খেতাব সহ মরোনত্তর খেতাবে ভূষিত করার জন্য প্রধান মন্ত্রীর কাছে দাবী জানান ।