গৌরনদী
গৌরনদীতে ভূয়া দলিল দিয়ে ব্যাংক ঋৃন, দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদীতে সম্পত্তির ভূয়া দলিলের কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক ঋৃন নিয়ে আত্মসাত করার অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে সোনালী ব্যাংক গৌরনদী শাখার সিনিয়র অফিসার মো. শাহ আলম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন গৌরনদী উপজেলা সদরের গৌরনদী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সুরমা ট্রেডার্সের মালিক এস,এম, মনিরুজ্জামান ও আল হেলাল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মার্কেট সংলগ্ন উত্তর বিজয়পুর মৌজার ৫১ শতাংশ জমির ভূয়া দলিল ও কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে ৪ লাখ সিসি ঋৃন নেন এস,এম মনিরুজ্জামান। যার মালিকানা হিসেবে ব্যাংকে জমি মর্গেজ দেন আল হেলাল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মৌলভী আব্দুল মালেক। ঋৃন নেওয়ার পরে ব্যাংকের কোন কিস্তি পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে ৮লাখ ২৩ হাজার ৯৩৬ টাকা পাওনা হয়। টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় নোটিশ দিলেও কোন টাকা ফেরত দেননি। এক পর্যায়ে গত ১৬ আগষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আসামির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুরমা ট্রেডার্সে গিয়ে টাকার তাগাদা দিলে ঋৃন নেওয়ার কথা অস্বীকার করে কর্মকর্তাদের লাঞ্চিত করেন ব্যবসায়ী মনির। ব্যাংকে কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে দেখা যায় ঋৃনের অনূকূলে দেওয়া উত্তর বিজয়পুর মৌজার সম্পিত্তির কাগজপত্র ভূয়া। ব্যাংকের কাছে মর্গেজ দেওয়া কাগজপত্র জাল এবং ওই সম্পত্তিতে তাদের কোন সত্ব নাই। অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মনির জানান, কাগজপত্র জাল কি না আমি জানিনা। ব্যাংকের লোন অফিসার মো. আলী আহম্মেদ খান চুক্তির ভিত্তিতে আমাকে ঋৃন দিয়েছে । কাগজপত্র জাল করে থাকলে লোন অফিসার করেছে। এ প্রসঙ্গে লোন অফিসার মো. আলী আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাল কাগজপত্র মনিরই দিয়েছে। সে আমাদের সঙ্গে প্রতারনা করেছে। সোনালী ব্যাংক গৌরনদী শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, ওই ঋৃন বিতরনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন ম্যানেজার মো. আব্দুর রশিদ ও লোন অফিসার মো. আলী আহম্মেদ খা কে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।