গৌরনদী
দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ঠিকাদারকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় ১১ ছাত্রলীগ নেতাকর্মির বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার এক ঠিকাদারের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মিরা। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ঠিকাদারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় মামলা না নেওয়ায় বুধবার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে ঠিকাদার বাদি হয়ে ১১জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মির বিরুদ্ধে চাদাবাজির একটি মামলা দায়ের করেছে। আদালতের বিচারক আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশাগ্রামের মৃত মোঃ মুমিনুদ্দিনের ছেলে ঠিকাদার সিরাজ সিকদার (৫২) অভিযোগ করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি স্থাপনা নির্মানের ঠিকাদারি করে আসছি। বর্তমানে গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের প্রবাসী হাবিব সরদারের বহুতল ভবন নির্মান ও একই গ্রামের ঢাকার ব্যবসায়ী মুনসুর ঘরামীর দ্বিতল ভবন নির্মানের কাজ চলছে। বিভিন্ন সময় আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য নাঈম সরদারের (২০) নেতৃত্বে সদস্য মহাসিন হাওলাদার (২০), আলিম সরদার (২২), রাকিব হাওলাদার (১৯), আকাশ হাওলাদার (২০), মেজর হাওলাদার (১৯)সহ ১১/১২জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মি আমার কাছে চাদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১০ মার্চ আমার কাছে ওই চাদাবাজ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং সদস্যরা এক লক্ষ টাকা চাধা দাবি করে দুই দিনের মধ্যে তা পরিশোধের আল্টিমেটান দেন। আমি তাদের দেয়া সময়ের মধ্যে চাদা পরিশোধ না করায় সন্ত্রাসীরা গত ১৩ মার্চ রাত ৭টার দিকে আমি গুপ্তের হাট বাজার থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে উত্তর শিহিপাশা গুপ্তের হাটের দক্ষিন পাশে পৌছলে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা ও ছাত্রলীগ নেতা নাঈম সরদার (২০) সদস্য মহাসিন হাওলাদার (২০), আলিম সরদার (২২), রাকিব হাওলাদার (১৯), আকাশ হাওলাদার (২০), মেজর হাওলাদার (১৯)সহ ১১/১২জন সন্ত্রাসী পথরোধ করে রাম দা, হাতুড়ি, লোহাররড, জিআই পাইপসহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাতারিভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
এজাহারে বাদি সিরাজ সিকদার উল্লেখ করেন, হামলাকারীরা আমার সঙ্গে থাকা স্যামসং মোবাইল ও নগত ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। আমি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় আমাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আমি আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নেননি। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য নাঈম সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ করি কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন বিষয় নাই। চাঁদা দাবির অভিযোগ সঠিক নয় প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমি তার কাছে টাকা পাবো তা চাইলে গেলে সিরাজ ও তার ছেলে আমাকে মারধর করেছে । এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আমার সহযোগীরা তাকে মারধর করেছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মিন্টু সেরনিয়াবাত এ প্রসঙ্গে বলেন, ওই ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই। তাছাড়া অভিযুক্তদের আমি চিনি না। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতের পেশকার মোঃ েেরজাউল জানান, জনৈক ঠিকাদার সিরাজ সিকদার বাদি হয়ে ৬জনের নামউল্লেক করে ও অজ্ঞাতনাামা ৫জনকে আসামি করে চাঁদা দাবির মামলা দায়ের করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি এফআইআর হিসেবে মামলা রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দেন। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জহিরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে কেউ মামলা করতে আসেনি। না নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আদালতের নির্দেশনা এখনো পাইনি পেলে নির্দেশনা মত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।