গৌরনদী
গৌরনদীতে শ্বশুড়িকে হত্যা মামলায় দুই পুত্রবধূ ও ছেলে আটক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের চর দিয়াশুর গ্রামে ছেলে ও দুই বধু সোমবার রাতে সীল পাটার পূতো দিয়ে মাথায় আঘাত করে শ^াশুড়িকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ দুই পুত্রবধূ, স্বামী ও ছেলেকে আটক করেছে।
নিহতের ভাই মামলার বাদি মনির হোসেন সিকদার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার বোন হেরোনার সাথে প্রায়ই ছোট ভাইগ্না সুমন প্যাদা, ভাইগ্না বৌ রাখি বেগম, তুলি বেগম ঝগড়াঝাটি করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার বোন হেরোনা বেগমকে তারা মারধর করে। বোন বিষয়টি তাকে জানালে সে (মনির সিকদার) ওই বাড়িতে গিয়ে মিমাংসা করে দেন। বোনকে মারধরের খবর শুনে সোমবার সকালে দুই ভাগ্নিতার মাকে দেখতে আসলে এ নিয়ে নতুন করে বোন হেরোনার সাথে পুত্রবধূদের ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে ভাগ্নিরা (নিহতের মেয়েরা) রাগ করে ওই বাড়ি থেকে চলে যায়। সোমবার রাতে এ নিয়ে বাকবিতান্ডার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইগ্না বৌ রাখি বেগম (২৫), তুলি বেগম (২৭) বৃদ্ধা হেরোনা বেগমের মাথায় সীল পাটার পূতো দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হেরোনা বেগম মারা যায়। বোন হেরোনা মারা যাওয়ার পরে হত্যা মামলা থেকে বাচার জন্য ছোট ভাইগ্না সুমন প্যাদা, ভাইগ্না বৌ রাখি বেগম, তুলি বেগম বোনের গলায় ফাস দিয়ে বাড়ির পাশে ছোট্র টয়লেটে সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারনা চালায়। অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে নিহতের ছেলে সুমন প্যাদা (৩২) পুত্রবধূ রাখি বেগম (২৫), তুলি বেগম (২৭) কথা বলতে রাজি হননি।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, রেহোনা বেগমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনির সিকদার বাদি হয়ে নিহতের ছোট পুত্র সুমন প্যাদা ও পুত্র বধু রাখি বেগম ও তুলি বেগমকে অভিযুক্ত করে গৌরনদী মডেল থানায় মঙ্গলবার বিকেলে অভিযোগ দায়ের করেছে।