প্রধান সংবাদ
বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার অপরাধে তালাবদ্ধ দোকান একমাসেও খুলে দেয়া হয়নি,
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের বিএনপির গণসমাবেশে যাওয়ার অপরাধে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের চাত্রীশিরা বাশতলা বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ আকরাম খানের ওয়ার্কসপে হামলা চালিয়ে মারধর করে মটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে দোকানটি তালাবদ্ধ করে দেন বাগধার ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত এক মাসেও দোকানটি খুলে দেয়া হয়নি।
বাগধা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি ও বদ্ধ ওয়ার্কসপের মালিক মোঃ আকরাম খান (৪০) অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশে যাওয়ার অপরাধে বাগধা ইউনিয় আওয়ামীলীগ ৫নং ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিমের (৫০) নেতৃত্বে ২০/২৫ জন নেতাকর্মী গত ৫ নভেম্বর আমার দোকানে হামলা চালিয়ে মারধর করে আমার একটি মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেন এবং দোকানটি তালাবদ্ধ করে দেন। এ বিষয়ে আমি বরিশাল পুলিশ সুপারের কাছে ৯ নভেম্বর অভিযোগ করলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম আওয়ামীলীগ নেতা রহিমের বসতঘর থেকে ছিনতাইকৃত মটরসাইকেলটি উদ্ধার করে আমাকে ফেরত দেন কিন্তু একমাসেও আমার দোকানটি খুলে দেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, বৃদ্ধ মা, স্ত্রী চার ছেলে মেয়ে নিয়ে আমার ৭ জনের সংসার। আয়ের একমাত্র আবলম্বন ছিল দোকানটি। একমাস ধরে বন্ধ থাকায় বৃদ্ধ মায়ের চিকিৎসা চালাতে পারছি না। চার সন্তান লেখাপড়া করে তাদের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতরভাবে জীবন করতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী ও পুলিশ জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যও মূল্য বৃদ্ধির প্রতবাদে বরিশালের বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দেয়ার অপরাধে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা পূর্বপাড়, পশ্চিম পাড়, খাজুরিয়া কতিপয় ব্যবসায়ীরা ৫ নভেম্বর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সমাবেশে যোগদান করেন। ওই দিন (৫ নভেম্বর) সকালে আগৈলঝাড়ার বাগধা বাজারের ১৯টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠাসহ উপজেলায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করে দেন। পরবর্তিতে এ নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে প্রশাসন ও সিনিয়র আওয়ামীলীগ নেতারা ২৯টি প্রতিষ্ঠান খুলে দেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে নেতারা বলেন, আকরাম খান বিএনপির সমাবেশে গিয়ে অপরাধ করেছে এবং দোকান বন্ধের পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ অপরাধ করেছে ওর ক্ষমা নাই। আগৈলঝাড়ার বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম ব্যবসায়ী বলেন, আকরাম নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারে কাছে অভিযোগ করায় তার উপর সবাই ক্ষিপ্ত। আমি ঢাকা থেকে গিয়ে দোকান খোলার ব্যবস্থা করে দিবো। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, দোকান বন্ধর বিষয়টি জানা নেই, খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।