প্রধান সংবাদ
উজিরপুরে মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫,আহত-১০
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার নতুন শিকারপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চার জন ও বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনসহ ৫জন নিহত ও ১০ জন আহত হন। উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জনকে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি ঘটলে ৮ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ দূর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি আটক করেছে তবে চালককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেলাল হোসেন জানান, ঢাকা গাজীপুর কোনাবাড়ি থেকে ১০ বন্ধু-বান্ধন ও স্বজন মাইক্রোবাস ঢাকা মেট্রো চ-১৯-২৬৫৩ নিয়ে পদ্মা সেতু পরিদর্শন করে কুয়াকাটা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুরের নতুন শিকারপুর নামক স্থানে পৌছলে মাইক্রোবাসের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। এ সময় বিপরীত দিগ বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামি মোল্লা পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রো বাসটি দুমরে মুচরে যায়। দূর্ঘটনার ফলে প্রায় পোনে এক ঘন্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে উজিরপুর ফায়ার সার্ভিস, গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ, উজিরপুর মডেল থানা পুলিশসহ স্থানীয়রা অভিযান চালিয়ে দুপুরে সোয়া একটায় বাস অপসারন করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। দূর্ঘটনা ঘটনাস্থলে চার জন ও বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনসহ মোট ৫ জন নিহত ও ১০ আহত হন। গুরুতরভাবে আহত ৮ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেেিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শওকত আলী জানান, নিহতরা সকলেই গাজীপুরের বাসিন্দা ও আহত অধিকাংশ গাজীপুরের ও মাইক্রোবাসের যাত্রী। নিহতরা হলেন, গাজীপুর কোনাবাড়ি এলাকার আব্দুল মানানন আকন্দের পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম আকন্দ (৪০), মৃত উজির হাওলাদারের পুত্র মোঃ রুহুল আমিন (৪৫), মৃত হাসেম আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৪৬), তমেজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ হাসান (৩৬) ও মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪০)। গুরুতরভাবে আহত বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আহতরা হলেন, গাজীপুরের বাদশা মিয়ার পুত্র মোঃ লিটন (৩০), একই স্থানের নুরুল ইসলামের স্ত্রী লামিয়া ইসলাম (২৫), গাজীপুরের মজিব সরদারের ছেলে আছর উদ্দিন ওরফে রানা (৫০), গাজীপুরের হারুন অর রশিদ ও মোঃ শহিদুল ইসলাম, নারায়নগঞ্জের হাজী সুরুজ আলীর পুত্র শেখ নুরুল ইসলাম (৪১), পটুয়াখালি মীর্জাগঞ্জের আব্দুল হাদিস খানের ছেলে আনসার আলী খান (৬০), একই জায়গার নিজাম উদ্দিন গাজীর ছেলে ইমরান গাজী (২২)।
উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, মাইক্রেবাসের চাকা ফেটে যাওয়ার পরে চালক নিয়ন্ত্র হারিয়ে ফেলে এবং বিপরীত দিক থেকে আসা দুরপাল্লার বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। আহত যাত্রীদের চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্থানীয়রা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করি। মাইক্রোবাসের চালক চাকা ফেটে যাওয়ার পরে গািড়ীটি রক্ষায় যতেষ্ট চেষ্টা করেন কিন্তু নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেননি। অবশেষে ৫টি প্রান ঝরে গেল। গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দূর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি াাটক করা হয়েছে তবে চালকে পলাতক রয়েছে।