গৌরনদী
গৌরনদীতে দুই ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে থানায় সোপর্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে চার ছাত্রদল নেতাকে জখম করেছে এবং দুই ছাত্রদল নেতাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার আহত আটক হওয়া দুই ছাত্রদল নেতাকে থানার বোমা বিস্ফোরনে নিহত একটি পেইন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করেছে।
গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ রাসেল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে আমি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সুনান শরীফ ও বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের গেটের সামনের চায়ের দোকানে চা পান করছিলাম। এ সময় ৩০/৩৫ জন ছাত্রলীগ নেতা কর্মী রড, লাকরী, ধারাল অস্ত্র, চায়নিজ কুড়াল ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে তিনজনকে জখম করেছে। এক পর্যায়ে আমি ও সুনান শরীফ ছুটে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বরিশাল জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল আমিন সরদারকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে যায়। বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল আমিন সরদার অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাকে ধরে স্কুল মাঠে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং এক পর্যায়ে ইট দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলে দেয়। পরে আমার হাতে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে মুঠোফোনে ছবি তুলে পুলিশকে খবর দিয়ে আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহামুদুল হক ওরফে মিলন অভিযোগ করে বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিন পালরদী মহল্লায় আমার বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম হঠাৎ করে ৫/৭টি মটর সাইকেলে ১৫/২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে এবং এক পর্যায়ে আমাকে ধরে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান দুই ছাত্রদল নেতাকে নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ ও পুলিশ পেইন্ডিং হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কামাল হোসেন জানান, ফায়িয়া গার্ডেন নামে পার্কে বোমা বিস্ফোরন ও নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ক মাহামুদুল হক ওরফে মিলন ও আল আমিন সরদারকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।