গৌরনদী
৯ বছর পর মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন গৌরনদীর চার বিএনপি নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় দায়ের করা একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা থেকে অব্যহতি পেলেন গৌরনদী উপজেলা বিএনপির চার নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর। মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষনা করে চার আসামিকে মামলা থেকে বেকসুর খালাশ দেন। এ সময় মামলার চার আসামি বিএনপি নেতারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গৌরনদী মডেল থানা মামলা সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের হরিসোনা মহল্লার মোঃ ধলু সরদারের পুত্র আওয়ামীলীগ সমর্থক মোঃ বেনছের আলী সরদার ১০১৩ সালের ১৯ মার্চ গৌরনদী মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, গৌরনদী পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও গৌরনদী পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন সরদার, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোর্শেদ ওরফে পান্না, গৌরনদী উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি ও পৌর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোঃ গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার ও পৌর সভার ৭.৮.৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও বরিশাল জেলা উত্তর মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য হোসনে আরা বেবী। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, আসামিরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে নেন এবং বাকি দেড় লাখ টাকা না দেয়ায় আসামিরা তাকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে নির্মম শারীরিক নির্যাতন করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সলেমান মাহমুদ মামলার তদন্তকারী সময়ে ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে অভিযোগে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এজাহারভূক্ত চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আসামি গৌরনদী পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও গৌরনদী পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন সরদার, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোর্শেদ ওরফে পান্না অভিযোগ করে বলেন, মামলার বাদি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গত ৯টি বছর আমাদের হয়রানী করে আর্থিক ও মানুষিকভাবে অপুরনীয় ক্ষতি করেছে। মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সূত্র জানান, সাক্ষ্য গ্রহন শেষে মঙ্গলবার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সফিকুল ইসলাম চাঁদাবাজির মামলার রায় ঘোষনা করেন। রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্র পক্ষ মামলার সত্য উদঘাটন করতে না পারায় মামলার অভিযোগ থেকে অভিযুক্ত চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হইল। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট ফাহাদ আল বাশার ও আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোটেক মোঃ হুমায়ুন কবির।