গৌরনদী
বিস্ফোরক ও মন্দিরে হামলার মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, বরিশাল-১ আসনের সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপনের একান্ত সচিব ও জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য মোঃ রফিুকল ইসলাম কাজল বিস্ফোরক, মন্দিরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় বুধবার বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে আত্ম সমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয়, আহত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দলীয় আধিপত্য বিস্তারের বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কতিপয় যুবলীগ নেতাকর্মীরা গৌরনদী উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে ফরহাদ মুন্সীর মালিকানাধীন বেসরকারী বিনোদন কেন্দ্র ফায়িয়া গার্ডেন নামে একটি পার্কের পাশে পরিত্যক্ত ঘরে বোমা বানাতে যায়। রাত ১টার দিকে তৈরীকৃত বোমা বিস্ফোরিত হয়ে আহত বোমা তৈরীর কারিগর হারুন হাওলাদার (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ সময় পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী, একাধিক মাদক মামলার আসামি ও বোমা তৈরীর ঘটনায় জড়িত কাওছার ফকির (৩৩) ও তার চাচাতো ভাই রায়হান ফকির (৩২)সহ ৬/৭ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমাম হোসেন বাদি হয়ে বোমা তৈরীর কারিগর হারুন হাওলাদারকে প্রধান আসামি ও সহযোগী যুবলীগকর্মী কাওছার ফকির, রায়হান ফকির, আব্দুর রহমানসহ ৬ জনের নামউল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ১২ জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ একটি মামলা দায়ের। বিএনপি নেতা এইচ, এম. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বোমা তৈরীর ঘটনায় যুবলীগ নেতাকর্মীরা জড়িত এবং তারাই হতাহত হয়েছে অথচ পুলিশ আমাকে (এইচ, এম. রফিকুল ইসলাম কাজল) ও বিএনপি নেতা এইচ.এম. রফিকুল ইসলাম শাহীনকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করতে মামলায় আসামি করেছে। এইচ, এম. রফিকুল ইসলাম শাহীন গত এক মাসের বেশী সময় ধরে কারাগারে রয়েছে।
এদিকে এইচ.এম. রফিকুল ইসলাম কাজলের আইনজীবি কাজী মোঃ বেলাল হোসেন জানান, আসামি এইচ.এম. রফিকুল ইসলাম কাজল বিস্ফোরক ও মন্দির ভাঙচুরের মামলায় বুধবার বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিচারকে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিএনপি নেতা এইচ, এম. রফিকুল ইসলামের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বাদি গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমাম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আবদুর রহমান মীরের দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ি ঘটনায় জড়িতদের আসামি করা হয়েছে। হয়রানী করার অভিযোগ সত্য নয়।