গৌরনদী
গৌরনদীতে ইউপি নির্বাচনের আড়াই মাস পর ব্যালট ও ব্যালটের মুড়ি উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আড়াই মাস পরে স্কুল আলমারিতে পাওয়া গেল কিছু ব্যালট পেপার ও দুই শত ভ্যালটের মুড়ি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঘমারা বড় দুলালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ খান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি রোববার স্কুলে পাঠদান শুরু করা হয়। দুপুরে বিশেষ প্রয়োজন কিছু কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে বিদ্যালয়ের ষ্টিল আলমিরা খোলা হয়। এ সময় আমলমিরার ভিতরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের কিছু ব্যালট পেপার ও ২শ শত ব্যালটের মুড়ি পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত বার্থী ইউনিয়ন পরিষ নির্বাচনে এ স্কুলে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাকে নির্বাচনের আগের দিন আলমারির চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল। প্রিজাংডিং অফিসার ভোট গ্রহন সম্পন্ন করে চাবি হস্তান্তর করে যান কিন্তু করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এতদিন আলমিরা খোলা হয়নি। স্কুল খোলার পরে এ সব ব্যালট ও ব্যালটের মুড়ি পাওয়া গেছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসকে জানানো হয়েছে।
বার্থী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী খায়রুল আহসান অভিযোগ করে বলেন, বিগত নির্বাচনে ব্যাপক দূর্নীতির করে আমাকে পরাজিত করার অভিযোগ করেছিলাম কিন্তু প্রশাসন তা আমলে নেয়নি। এখন স্কুলের আলমিরা থেকে ব্যালট পেপার ও পেপারের মুড়ি পাওয়ায় নির্বাচনে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি পরিস্কার হলো। তিনি আরও বলেন, তাদের ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপালন করা ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারের যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই দুইশ’ ব্যালটের ভোট কারচুপি করে গোপনে বাক্সে ঢুকিয়ে আমার প্রতিপক্ষ সোবাহান হাওলাদারকে বিজয়ী করা হয়। একই অভিযোগ করে পরাজিত সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী শিপ্রা রানী বলেন, অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী শাহানাজ বেগমকে নির্বাচিত করা হয়েছে । তারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেন। রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি পরিস্কার হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় অঅনা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ব্যালট ও ২শত ব্যলটের মুড়ি পাওয়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।