গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় হরিনের মাংশ ও ৬ টি চামরাসহ আটক-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাজিহার গ্রাম থেকে পুলিশ ৩৭ কেজি হরিনের মাংশ ও হরিনের ৬টি চামরাসহ একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও দুই কর্মচারীকে অঅটক করেছে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ। বুধবার গ্রেপ্তারকৃত তিন জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবুল হাসেমের আদালতে হাজির করলে অর্থ দন্ড ও কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। আসামি জেমস মৃদুল হালদারকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাজিহার গ্রামের স্যামুরেল হালদারের পুত্র ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলো শিখা সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের’ নির্বাহী পরিচালক জেমস মৃদুল হালদার (৬১) দীর্ঘ দিন যাবত হরিন পালন করে আসছিল। ইতিপূর্বে সে কয়েকটি হরিন গোপনে বিক্রি করেন। পরবর্তিতে তার এনজিও কার্যালয়ের ভিতরে ৬টি হরিন পালন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে গোপনীয়তা রক্ষা করে এনজিওর প্রাচীরের ভিতরে আলেঅ শিখা কার্যালয়ের চত্বরে হরিনগুলো জবাই করে ২ হাজার টাকা কেজি দরে মাংশ বিক্রি করে। স্থানীয় কতিপয় মাংশ ক্রেতারা বিষয়টি আগৈলঝাড়া থানা থানাকে অবহিত করেন।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম জানান, হরিন জবাই করে মাংশ বিক্রির খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ রাজিহার ‘আলো শিখা সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের’ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে ৩৭ কেজি হরিনের মাংশ সদ্য জবাই করা হরিনের ৬টি চামরা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ‘আলো শিখা সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের’ নির্বাহী পরিচালক জেমস মৃদুল হালদার (৬১), অফিস সহকারী খোকন সরকার (৪৯), নৈশ প্রহরী সুনীল চন্দ্র হালদাকে (৬৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার দুপুরে আটককৃত তিন জনকে আগৈলঝাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবুল হাসেমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসামিরা নিজেদের অপরাধ করে। বিচারক মোঃ আবুল হাসেম ‘আলো শিখা সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের’ নির্বাহী পরিচালক জেমস মৃদুল হালদারকে ২ মাস কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জড়িমানা আদায় করার নির্দেশ দেন। অন্য দুই আসামিকে ৫ হাজার টাকা জড়িমানা আদায় করে।
আগৈলঝাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবুল হাসেম বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, হরিণ হত্যা, এর দেহের অংশ সংরক্ষণ, পরিবহন ও কেনা-বেচা দÐনীয় অপরাধ। আটককৃত তিন আসামিকে জেল জড়িমানা করা হয়েছে। এনজ্রি প্রধান জেমস মৃদুল হালদারকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আাগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, বুধবার সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেমস মৃদুল হালদারকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।