গৌরনদী
গৌরনদীতে ওএমএসের চাল-আটা কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদীতে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে চাল ও আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। সে কারণে সাশ্রয়ী দামে চাল ও আটা কিনতে খাদ্য অধিদফতরের ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) দিকে ছুটছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এতে করে করোনার সময় বেড়েছে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি। পৌরসভার চারটি কেন্দ্রে রোববার অস্বাভাবিক ভীড় দেখে গেছে। ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ডিলাররা। রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওএমএসের কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ^াস।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অশোক কুমার চৌধুরী জানান, মহামারী করোনাভাইরাসে চলমান সংক্রমণের কারণে সরকারের বিধি নিষিধের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত প্রদোণা প্যাকেজের আওতায় ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পৌরসভার চারটি কেন্দ্রে শুক্রবার ব্যতিত প্রতিদিন এক হাজার ছয়’শ পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল ও ১৮ টাকা কেজিতে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে সাধারন ক্রেতারা ওএমএসের ডিলারের কাছে ছুটছেন। অনেকেই ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই নির্ধারিত স্থানে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পণ্য।
পৌরসভার কাসমাবাদ হাই মার্কেটে ওএমএসের চালের জন্য লাইনে দাঁড়ানো আঃ মালেক বলেন, চালের জন্য সকাল ৯টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। ১০টার দিকে চাল বিক্রি শুরু হয়। পাঁচ কেজি চাল ও আটার জন্য এক-দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপরও চাল আটা কিনতে পারলে খুশি।
দিয়াশুর এলাকার ডিলার ও পৌর কাউন্সিলর ইখতিয়ার হোসেন বলেন, লকডাউনের মধ্যে ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। আমরা যে চাল ও আটা বরাদ্দ পাচ্ছি, তা অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ কম। বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পান। এ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যাবে।
ডিলার ও ক্রেতাদের সার্বিক খোঁজ খবর নেয়ার জন্য রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টরকী বাসষ্ট্যান্ড, গৌরনদী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাসেমাবাদ হাই মার্কেট ও দিয়াশুর ওএমএসের কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ^াস। এ সময় ক্রেতাদের সাথে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।