গৌরনদী
স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে বসেছে কসবা গো-হাট
নিজস্ব প্রতিবেদক, করোনার স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দক্ষিনাঞ্চলের সর্ববৃহৎ গো-হাট বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কসবা গো-হাট বসেছে। হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা কোন নিয়ম নীতি মানছেন না।
বৃহস্পতিবার গো-হাটে গিয়ে দেখা যায়, কসবা গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। একমুখি প্রবেশের কথা বলা হলেও তা মানছেন কোন ক্রেতা-বিক্রেতা। গো-হাটের সড়কের উপরই গরু নিয়ে বিক্রির জন্য বসেছে ব্যবসায়ীরা। হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতার অধিকাংশরই মুখে নেই মাস্ক। হাট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি পালনে কোন ব্যবস্থা নেননি। নেই হাত ধোয়ার ব্যবস্থা । হাটে অভিভাবক কিংবা গরু কিনতে আসা মানুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। তাদের মুখেও কোন মাস্ক নেই, মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। গায়ে গায়ে গাদাগাদি করে দরদাম করছে মানুষ। হাটে শিশু নিয়ে আসায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অভিভাবকরা শিশু সন্তানদের নিয়ে এসেছে হাটে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের বক্তব্য হাটে গরু কিনতে এসে শিমুরা অনেক আনন্দ পায় তাই নিয়ে আসা হয়েছে। হাট ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর হাটে দেশী ও খামারি গরু আমদানি খুবই বেশী, বাজারে বিক্রেতার ব্যাপক সমাগম কিন্তু বেচাকেনা কম। তবে এতে হতাশ নয় গরু ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানান, ১৯১২ সালে কসবা গো-হাট প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সড়ক পথ ও নৌ-পথে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় এ গো-হাটটি দক্ষিনাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ গো-হাটে । গৌরনদীর কসবা গো-হাট খুচরা ও পাইকারী গরু বিক্রি করা হয়। এ হাটে বরিশাল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালি, ঝালকাঠি, যশোর, চাঁদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্ঠিয়া, নোয়াখালী, লহ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রামসহ পাইকারী গরু ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য গরু নিয়ে আসে।