গৌরনদী
জবরদখল করে নেওয়া জমি ফিরে পেতে অসহায় বিধুবার আকুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, পেশী ও সন্ত্রাসী শক্তির জোড়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের নলচিড়া গ্রামের অসহায় বিধুবা সাজু বিবির (৬২) ৩৭ শতাংশ প্রভাবশালী বাবুল জমাদ্দার জবরদখল করে নিয়ে ভোগদখল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি উদ্ধারের দাবিতে প্রভাবশালী ও প্রশাসনের দ্বারে ঘুরছে অসহায় সাজু বিবি। এদিকে অসহায় পরিবারকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে অবৈধ দখলদারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
গৌরনদী উপজেলার নলজিড়া গ্রামের মৃত এসকেন আলী সিকদারের বিধুবা স্ত্রী সাজু বিবি (৬২) অভিযোগ করে বলেন, জেএলনং ১৮৭ নলচিড়া মৌজার, এসএ ১০৬ খতিয়ানের ১৪১ ও ১৪৭নং দাগের ৩৭ শতাংশ জমির রেকর্ডিয় মালিক তার শ্বশুর কালাই সিকদার ও নজমদ্দিন সিকদার। শ্বশুর ও স্বামী এসকেন আলী সিকদার ৫০/৬০ বছর ভোগ করেন। পরবর্তিতে আমি ও আমার কন্যা হাসিনা বেগম, ইয়াসমিন বেগম, পরভিন বেগম পুত্র মনির সিকদার ও জাকির সিকদারের নামে বিএস রেকর্ড হয় । ১৯৯১ সালে আমার স্বামী এসকেন আলী সিকদার মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পরে নলচিড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী জমাদ্দারের পুত্র বাবুল জমাদ্দার (৪৫) তার (বাবুলের ) চাচা সোহরাব জমাদ্দার (৬০)ও ভাতিজা লাল জমাদ্দার (৪৫) আমার জমি জবরদখলেরর চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বাবুল জমাদ্দার ১৯৫৫ সালের একটি কথিত দলিল নিয়ে জমির মালিকানা দাবি করে দখল করতে আসলে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে দলিল ভূয়া প্রমানিত হলে চতুর বাবুল জমাদ্দার জমি দখল নিতে ১৯৯৭ সালে এক তরফা ডিক্রি মূলে পুনরায় জমির মালিকানা দাবি করেন। একই বছর (১৯৯৭ সাল) ডিক্রির বাতিল চেয়ে গৌরনদী সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে আদালত ডিক্রিও বাতিল করে রায় প্রদান করেন। পর পর দুটি মামলায় রায় বিপক্ষে যাওয়ায় ১৯৯৯ সালে বাবুল জমাদ্দার গংরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে জমি দখল করে নিয়ে ভোগ দখল করেন। এসএ ও বিএস রেকর্ডিয় মালিক হওয়া সত্বে ও বিগত দিনে আদালতের তিনটি রায় পক্ষে থাকা সত্বেও আমি জমি ভোগ দখল করতে পারছি না। শুধুমাত্র পেশী ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার জমি বাবুল জমাদ্দার গংরা ভোগদখল করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি জমি উদ্ধারের জন্য প্রভাবশালী ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছি কিন্তু এই অসহায়ের প্রতি কিউই সদয় হননি। বর্তমানে বাবুল জমাদ্দার ও তার ভাড়াটে সহযোগী সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার সন্তানদের প্রাননাশের হুমকি দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও জমি ফেরত পাওয়ার আবেদন জনাচ্ছি। সংবাদ সম্মেল সাজু বিবির বড় ভাই বৃদ্ধ ইউসুফ আলী আকন, মেয়ে হাসিনা বেগম, ইয়াসমিন বেগম ও পারভিন বেগম উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে বাবুল জমাদ্দার বলেন, অভিযোগের কোন সত্যতা নাই।এ প্রসঙ্গে গৌরনদী মডেল থানার র্ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেনের কাছে জানতে তিনি বলেন, লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।