গৌরনদী
গৌরনদীতে সুদখোরদের উৎপাত সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদীতে সুদখোরদের (সুদ ব্যবসায়ী) উৎপাত ও গালাগাল এবং লাঞ্চনা সইতে না পেরে কীটনাশক পানে জুগল সোম (৪৫) নামে এক পান চাষি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীণ পান চাষির স্ত্রী কবিতা সোম (৩৫) বলেন, গত ২ বছর পূর্বে আমার দরিদ্র স্বামী জুগল সোম স্থানীয় গ্রাম্য সমিতির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা, নির্মল দের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা, বাদল রায়ের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা, বাদল করের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ কয়েকজন সুদী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকা সুদে আনে। সমিতির ও সুদী ব্যবসায়ীদের সুদের টাকা দিতে গিয়ে আমার দরিদ্র স্বামী ঋণে ও সুদে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ওই সুদখোররা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে এসে সুদের টাকা দাবি করে না পেয়ে উৎপাত করে আমার স্বামী ও আমাদের অশ্লাীল ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্চনা করে আসছে। সুদখোর মহাজন বাদল রায়সহ ২/৩ জনে শনিবার রাত ৯টার দিকে আমাদের বাড়িতে এসে দাবিকৃত সুদের টাকা না পেয়ে উৎপাত করে অশ্লীল ভাষায় আমার স্বামীসহ আমাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালীগালাজ করতে থাকে। এ সময় সুদখোর বাদল রায় সুদের টাকা না দিতে পারলে আমার স্বামীকে গলায় দড়ি দিয়ে অথবা বিষ খেয়ে মরতে বলেন। তখন আমার স্বামী ঘরে রাখা পান বরজের বিষ নিয়ে বাদল রায়ের সামনে বসেই বিষ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক আমরা তাকে (জুগল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত বাদল রায় অভিযোগন অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছ থেকে জুগল ৮৪ হাজার টাকা ধানের উপর নিয়েছে। আমি আমার টাকার জন্যও নয় সমিতির টাকার জন্য তাকে চাঁপ দিয়েছি। কোন দুর্ব্যাবহার বা গালিগাালাজ করি নাই। আমি টাকা চাইতে যাওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জুগল বিষ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।