বরিশাল
উজিরপুরে হত্যা মামলার বাদি ও স্বাক্ষীকে কুপিয়ে জখম মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার-৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের গজেন্দ্র গ্রামের নিহত নিরু রায়হান হত্যা মামলার বাদি সৈয়দা শাহীন আক্তার (৪১) ও স্বাক্ষী ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হাওলাদারের (৫০) উপর হত্যা মামলার আসামি ও একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। গুরুতরভাবে আহত দুই জনকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ডিসেম্বর মাসে উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের গজেন্দ্র গ্রামের নিরু রায়হানকে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সৈয়দা শাহীন আক্তার বাদি হয়ে একই গ্রামের অমল চন্দ্র শীল (৬২), বিমল চন্দ্র শীল (৬০), মনোরঞ্জন শীল (৫২), সুশান্ত কুমার শীল (৪৮), অঞ্জন শীলসহ (৩০) ১০ জনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামিরা জামিনে রয়েছে। হত্যা মামলার বাদি সৈয়দা শাহীন আক্তার জানান, মামলার স্বাক্ষী ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হাওলাদারকে নিয়ে বুধবার তিনি পশ্চিম ধামুরা গ্রামে যাওয়ার পথে ধামুরা হাওলাদার বাড়ির কাছে পৌছলে স্বামী হত্যা মামলার আসামি অমল চন্দ্র শীল (৬২), বিমল চন্দ্র শীল (৬০), মনোরঞ্জন শীল (৫২), সুশান্ত কুমার শীল (৪৮), অঞ্জন শীলসহ (৩০) ১০/১২ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাতারিভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। পথচারী ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মামলার বাদি সৈয়দা শাহীন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, স্বামীকে হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা মামলা প্রত্যাহারে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নিলে আমাকেও হত্যা করা হবে বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখান। মামলা তুলে না নেওয়ায় ওই আসামিরা ভাড়াটে খুনিদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে ও মামলার স্বাক্ষীকে হত্যা করার জন্য হামলা চালিয়েছে। অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে অমল চন্দ্র শীল বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নাই। হয়রানীর উদ্দেশ্যে আমাদের আসামি করা হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জিয়াউল আহসান জানান, হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সৈয়দা শাহীন আক্তার বাদি হয়ে অমল চন্দ্র শীল (৬২), বিমল চন্দ্র শীল (৬০), মনোরঞ্জন শীল (৫২), সুশান্ত কুমার শীল (৪৮), অঞ্জন শীলসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অঞ্জন শীল, জয় শীল, মনোরঞ্জন শীল ও কনা শীলকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।