গৌরনদী
গৌরনদীতে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামে শুক্রবার দুপুরে অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্œ হয়। বর আসা মাত্রই দুই পরিবারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বা বিবাহ নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। এরই মাঝে বাঁধ সাধলেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি পুলিশ নিয়ে হাজির হয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের মোঃ মনির হাওলাদারের কন্যা ও মেদাকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্ঠম শ্রেনীর ছাত্রী আঁখি আক্তারের (১৪) বিয়ে পাকা হয় একই গ্রামের হাসেম ঘরামীর ছেলে মোঃ মাসুম ঘরামী (২৬)র সঙ্গে। বেশ কিছু দিন আগেই দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে শুক্রবার বাদ জুমা বিয়ের দিন ধার্য্য হয়। কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। এলাকাবাসি বিষয়টি গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসকে জানালে তিনি একদল পুলিশ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে কনের বাড়িতে হাজির হন। খবর পেয়ে বর পক্ষর লোকজন মাঝপথ থেকেই বরযাত্রী নিয়ে সটকে পড়ে। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা কনের বাবা মোঃ মনির হাওলাদার ও মা রিনা বেগমকে আটক করেন। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান কনের বাবা মনির হাওলাদার ও মা রিনা বেগম। বিয়ে সম্পর্কে কনের বাবা দিন মজুর মনির হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৮ বছরের আগে মাইয়া বিয়া দেয়া যাইবে না হেইয়া মোর জানা আছিল না। তয় মোর ভুল অইছে মাইয়াডারে লেহাপড়া করাইয়া হেইয়ার পর বিয়ে দিমু।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বাল্য বিবাহ বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি যে কোন মূল্যে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয়ভাবে সকলের সহযোগীতা চান এবং গণসচেতনাতা গড়ে তুলে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।