গৌরনদী
সমাজসেবক শাহীনের অর্থায়নে গৌরনদীর কোরফুলি ২২ বছর পর পেলেন আশ্রয়স্থল
নিজস্ব প্রতিবেদক, উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা কোরফুলি বেগম দীর্ঘ ২২ বছর ছিলেন গৃহহীন। মাথার ওপর নিরাপদ কোন চালা ছিল না। তার পাশে এগিয়ে এলেন দুই সমাজসেবক। দুই সমাজ সেবকের উদ্যোগ ও অর্থায়নে কোরফুলিকে বসত ঘর তুলে দেয়া এবং নির্মান কাজের গতকাল শনিবার উদ্ধোধন করেন গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও গৌরনদী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস।
উপজেলার প্রত্যন্ত বড়দুলালী গ্রামের স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধা কোরফুলির দুরবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন ঢাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও বড়দুলালী গ্রামের ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সী। বৃদ্ধার বসত ঘর নির্মানে ঢাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম শাহীন ৩০ হাজার টাকা ও ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সী ১০ হাজার টাকা দিয়ে নির্মান কাজ শুরুর করেন। অসহায় কোরফুলি বেগম জানান, ২২ বছর আগে স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই কোরফুলি বেগমের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। উপায়ন্তর না পেয়ে আশ্রয় নেন বাবার বাড়ি বড়দুলালী গ্রামে। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৩ শতক জমির উপর তার জীর্ন কুটির। ক্ষুধার জ্বালা, রোদ বৃষ্টি আর সাপের ভয় নিয়েই কাটছিল তার জীবন। ঝিয়ের কাজ করে ক্ষুধার জ্বালা মিটালেও রোগ শোক আর করোনা মহামারির ছোবলে এখন কেউ কাজও দেয় না। আর কাজ করার মত শারীরিক অবস্থাও নেই। কোরফুলি বেগমের দুরবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন ঢাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও বড়দুলালী গ্রামের ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সী। উদ্ধোধণী অনুষ্টানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ^াস, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান প্যাদা, গণমাধ্যম কর্মীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শেষ বয়সে মাথার গোঁজার একটু আশ্রয় পেয়ে খুশি কোরফুলি বেগম।