গৌরনদী
এ,এস,আাইর বিরুদ্ধে অসহায়ের অভিযোগ ॥ টাকা নিয়ে মামলা রুজু না করে উল্টে অভিযোগ প্রত্যাহারে ভয়ভীতি প্রদর্শন
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ হামলা, নির্যাতন ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা রুজু করতে দুই হাজার আট শত টাকা নিয়ে মামলা রুজু না করে উল্টে আসামির পক্ষে অভিযোগ প্রত্যাহারে এক অসহায় পরিবারের প্রতি ভয়ভিিত প্রদর্শন করে চাপ সৃষ্টি করেছে গৌরনদী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান। গতকাল বুধবার বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ,এস,আই) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ইয়াসমিন আক্তার(২২)।
নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী সুপীয় বিশুদ্ধ পানি সরবারহের জন্য সম্প্রতি ইউনিয়নের পিংলাকাঠী গ্রামে আনিচ হাওলাদারের বাড়ির সামনে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। নলকূপ স্থাপনের ব্যায় সমহারে এলাকাবাসী প্রদান করেন। দিন মজুর এসকেন হাওলাদারও ব্যায়ের অংশ বহন করেন। প্রতিবেশী দিনমজুর হতদরিদ্র এসকেন হাওলাদার ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় নলকূপে পানি আনতে গেলে আনিচ হাওলাদার ও তার লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এসকেন হাওলাদারের কন্যা ইয়াসমিন আক্তার জানান, তার মা সেফালী বেগম গত রবিবার পানি আনতে গেলে আনিচ হাওলাদার (৪৫) তার পুত্র মিরাজ হাওলাদার (১৮) ভাই আজাহার হাওলাদারসহ ৫/৬জন ধারাল অস্ত্র নিয়ে তার মায়ের উপর হামলা চালায়। মায়ের ডাক চিৎকারে বাবা এসকেন হাওলাদার তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে চাপাতি দিয়ে তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, রক্তাক্ত জখম ও মূমূর্ষ অবস্থায় তারা মূমূর্ষ এসকেন হাওলাদারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সে গত চার দিনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, রোগীর মাথায় ধারাল অস্ত্র দ্বারা আঘাতসহ একাধিক স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর পর গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান মোর ধারে কাছে ৫হাজার টাহা দাবি করেন। তহন মুই অনুনয় বিনয় করে কোন টাহা নেই জানালে এ,এস,আই জানান টাকহা ছাড়া কিছুই হবে না। তহন মুই বাড়ি যাইয়া ধার দেনা কইররা ২ হাজার ২শত টাকা দেই। ইেয়ারপরেও মামলা রুজু করে নাই। দুই দিন পর গত মঙ্গলবার এ,এস,আই মিজান জানান, আসামি ধরতে যাওয়ার খরচ দেন। তহন মুই বাবার জন্য ঔষাধ কেনার টাকা থাইক্কা ৬শত টাকা দারোগা স্যারেরে দেই। এতেও মামলা করেন নাই। গত মঙ্গলবার দারোগা স্যারে হাসপাতালে যাইয়া মোরে কয় (বলেন), ৭ হাজার টাহা না দিলে তোর মামলা রুজু হবে না। তুই হাসপাতাল ছাইরা বাড়ি চইললা যা নইলে অসুবিধা হবে। বাদিও আসামি অইয়া জেলে যায়। বিষয়টি মিমাংসা হইয়া যা। গতকাল বুধবার সকালে ইয়াসমিন বেগম গৌরনদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এ,এস,পি) দপ্তরে অভিযোগ করেন