গৌরনদী
গৌরনদীতে হাবা-গোবা প্রতিবন্ধী কিশোর আইসিটি মামলায় আসামি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের বাবা মিথ্যা স্বাক্ষী না দেয়ায় হাবা-গোবা প্রতিবন্ধী ছেলেকে আইসিটি মামলায় আসামি করে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার গৌরনদী রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধী কিশোরের বাবা আবু আবদুল্লাহ। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে প্রতিবন্ধী ছেলেকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে প্রতিবন্ধী ফয়সাল আহম্মেদের বাবা আবু আবদুল্লাহ। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ একজন শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (জাতীয় পরিচয়পত্র নং-২০০২০৬১৩২৫৬১০০৯০৭-০২)। সে হাবা-গোবা, সহজ-সরল কিশোর। উপজেলার কমলাপুর গ্রামের এক নারী তাকে একটি পর্নোগ্রাফির মামলায় আসামি করেছে। প্রতিবন্ধী ছেলের বিরুদ্ধে দাযের করা মামলার বাদি এজাহারে বলেন, ফয়সাল আহম্মেদের ইমু আইডি থেকে তার অশ্লীল ভিডিও তিনটি ইমু আইডিতে ছড়ানো হয়েছে। এ অভিযোগ সত্য নয়, প্রকৃত সত্য হয়েছে আমার শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে ফয়সালকে প্রতিবেশী নারী (মামলার বাদি) বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে ডেকে নিত। কোন এক সময় মামলার বাদি ছেলে ফয়সাল আহম্মেদের ছবি তুলে নারী নিজের সিম দিয়ে ইমু আইডি খুলে ওই আইডি থেকে নিজেই তার অশ্লীল ভিডিও সজীব ওয়াজেদ জয়, তন্বী আক্তার ও জেসিকা শবনম নামে তিনটি ইমু আইডিতে ছড়িয়ে দেয়। ওই নারীর জমাজমি সংক্রান্ত একটি মামলায় আমাকে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে অনুরোধ জানায় আমি মিথ্যা স্বাক্ষী না দেয়ায় আমাকে জব্দ ও পরিবারকে হয়রানী করতে ষরযন্ত্রমূলকভাবে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে পর্নোগ্রাফি (আইসিটি) মামলায় আসামি করেছে।
তিনি আরো বলেন, যে মোবাইল সিম দিয়ে (০১৪০৭৫২২৭৫৯) আমার ছেলে ফয়সালের ছবি ব্যবহার করে ইমু আইডি খোলা হয়েছে ওই সিম আমার ছেলে কিংবা আমার পরিবারের কারোর নয়। আইন শৃংখলা বাহিনী ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করলেই ওই সিমের মালিকের পরিচয় ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার সত্যিকারের দোসী ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারবে। প্রকৃত পক্ষে আমার পরিবারেক হয়রানী করতে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। ওই নারী (আইসিটি মামলার বাদি) জনৈক ফারুক হোসেনের সঙ্গে তার ইমু আইডিতে ভিডিও কলে কথা এবং অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সেইভ করে তা প্রচার করে । সচেতন সমাজের প্রশ্ন ফারুক হোসেন ও মামলার বাদি ওই নারীর ভিডিও কলের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যপার তা কি করে অন্য আইডিতে গেল।
অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ধান্ধায় আমার প্রতিবন্ধী ছেলে, ভ্যান চালকসহ নিরীহ এরকাধিক ব্যক্তিকে আসামি করেছে। প্রতিবন্ধী ছেলে ফয়সালকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নির্বাহী সদস্য আঃ জলিল ফকির, খাঞ্জাপুর ইউনিযন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ হানিফ হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর ঘরামী, খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বাদির মামা হাফিজুর রহমান হাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ফকির, পশ্চিম খাঞ্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিয়াজ হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুল হক তালুকদার, যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ।