গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় কিশোর গ্যাং এর ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া গ্রামে শনিবার রাতে এক ব্যবসায়ীর পথরোধ করে কুপিয়ে জখম করে একটি এনড্রয়েট মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় একদল কিশোর। এ ঘটনায় গতকাল রোববার আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর পুলিশ উপজেলার কোদালধোয়া, বড়মাগরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে দুটি মটরসাইকেল ও দুটি মুঠোফোন উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় লোকজন, আহত ব্যবসায়ী ও পুলিশ জানান, বেশ কিছু দিন যাবত আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া গ্রামে ব্যাপকহারে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার একদল কিশোর বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে আইন শৃংখলা পরিস্তিতির অবনতি ঘটিয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া গ্রামের মনমথ বৈষ্ণবের ছেলে ব্যবসায়ী নয়ন বৈষ্ণব (২০) অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় একদল কিশোর বেশ কিছু দিন ছিনতাই, মেয়েদের ইভটিচিং ও বখাটেপনা করে আসছিল। শনিবার রাত নটার দিকে আমি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বাজারের পশ্চিম পাশে মঙ্গল ওঝার পান বরজের পাশে পৌছলে ৭/৮ জন কিশোর অঅমার পথরোধ করে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে একটি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লেঅকজন আমাকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আগৈরঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীর গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম ও ছিনতাইর ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী নয়ন বৈষ্ণবের বাবা মনমথ বৈষ্ণব বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ উপজেলার কোদালধোয়া, বড়মাগরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সুকুমার বালার ছেলে সৈকত বালা (১৭), একই গ্রামের জীবন হালদারের ছেলে পল্লব হালদার (১৮), চৈতন্য বৈদ্যর ছেলে চিন্ময় বৈদ্য (১৯), স্বপন বৈদ্যর ছেলে সোহাগ বৈদ্য (১৭), দুলাল বৈদ্যর ছেলে রাতুল বৈদ্য (১৪) ও পাশ্ববর্তি কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল গ্রামের সুধাংশ হালদারের ছেলে দীপ্ত হালদারকে (১৭) গ্রেপ্তার করে। এ সময় কিশোর গ্যাং এর ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেলও দুটি এনড্রয়েট ফোন উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে এলাকায় আইন পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল রোববার পল্লব ও চিন্ময়কে বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো এবং শিশুদের বরিশাল শিশু আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।