গৌরনদী
অপহৃত ছাত্রী উদ্ধারে সন্ত্রাসী হামলায় এসআইসহ তিন পুলিশ জখম \ গ্রেপ্তর-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলার লালমোহন থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)সহ তিন পুলিশ কনষ্টবল গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। আহত তিন পুলিশকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভোলা লালমোহন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে বুধবার গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এজাহার নামীয় তিন জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।
ভোলা লালমোহন থানার উপ-পরিদর্শক ও অপহরন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, ভোলা লালমোহন বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনির ছাত্রীকে (১৪) গত ৯ সেপ্টেম্বর বরিশালের গৌরনদীর উপজেলার বেদগর্ভ গ্রামের মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লার পুত্র ইমন মোল্লা (২৫)র নেতৃত্বে সহযোগী সন্ত্রাাসীদের নিয়ে অপহরন করে গৌরনদীতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ওই দিনই লালমোহন থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। আমি গৌরনদী মডেল থানার এসআই আরিফুল ইসলাম, নারী কনস্টেবল হাফিজা আক্তার ও ভোলার লালমোহন থানার কনস্টেবল মিরাজ হোসেনসহ একদল পুলিশ বুধবার প্রত্যুষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপহরনকারীর গ্রামের বাড়ি গৌরনদীর বেদগর্ভ গ্রামের অভিযান চালাই। সফল অভিযান শেষে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় ফিরে আসার সময় বেদগর্ভ বাজারের সন্নিকটে পৌছলে অপহরনকারী সন্ত্রাসী ইমন মোল্লার নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে গৌরনদী মডেল থানার এসআই আরিফুল ইসলাম, নারী কনস্টেবল হাফিজা আক্তার ও ভোলার লালমোহন থানার কনস্টেবল মিরাজ হোসেনকে জখম করেছে। আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ভোলা লালমোহন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে সন্ত্রাসী ইমন মোল্লা, তার দাদা সিরাজ মোল্লা, মোঃ এনায়েত মোল্লার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি বুধবার গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এজাহার নামীয় তিন জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।