গৌরনদী
গৌরনদীতে ব্যাংক কর্মকর্তার গাফিলতি, ৩১ জন শিক্ষকের ৭ লক্ষ টাকা ফেরত গেল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদীতে একটি ব্যাংকের কর্মকর্তার গাফিলতি ও অবহেলায় কারণে ৩১ জন শিক্ষকের শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতার প্রায় ৭ লক্ষ টাকা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্টীয় কোষাগার। করোনা কালীন দুর্যোগ মুহুর্তে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা এক মাসের বেতনের সমপরিমান টাকা হারিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে ভূক্তভোগী শিক্ষক পরিবার।
গৌরনদী সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও লাখেরাজ কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন জানান, প্রতিজন শিক্ষক তিন বছর পরপর এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমান শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা পান। এ ভাতার জন্য টরকী অগ্রণী ব্যাংক শাখা ১৮ শিক্ষকের অনুকূলে ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৪৭০ টাকা এবং বাটাজোর অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে ১৩ শিক্ষকের ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ আসে।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সুধাংশ কুমার হাওলাদার জানান, অগ্রণী ব্যাংক টরকী ও বাটাজোর শাখার ৩১ জন শিক্ষকের শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতার ৬লক্ষ ৯৪ হাজার ১৭০ টাকার বিল পাশ করে ক্যাশ করানোর জন্য ৩০ জুন সকাল ১১দিকে অগ্রণী ব্যাংক সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। সহকারী শিক্ষক সমাজের বরিশাল জেলা শাখার সম্পাদক ও মাগুড়া মাদারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ অভিযোগ করে জানান, অগ্রণী ব্যাংক গৌরনদী শাখার কর্মকর্তারা বিল পেয়ে সোনালী ব্যাংকে গৌরনদী থানা থেকে ক্যাস করানাের কথা। একই ভবনের একই তলায় এক পাশে সোনালী ব্যাংক ও অন্য পাশে অগ্রনী ব্যাংক হওয়া সত্বেও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা সোনালী ব্যাংকে বিল জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করেনি। অগ্রনী ব্যাংক কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ৩১ জন শিক্ষক শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতার টাকা না পেয়ে পরিবার পরিজয়ন নিয়ে মানবেতর জীবন করছে। বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন চন্দ্র সেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অবহেলা ও গাফলতির কারণে আমাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হলাম। শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতার প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ফেরত গেল এ দায় দায়িত্ব কে নিবে। মহামারী করোনা কালে আমাদের শিক্ষকদের দুর্দিন চলছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অগ্রণী ব্যাংক গৌরনদী শাখায় ম্যানেজার ও সিনিয়র পিন্সিপাল অফিসার অষীম কুমার বিশ্বাস বলেন, ওই দিন (৩০জুন) ডেক্স অফিসার মোঃ জায়েদ হোসেনের ভূলের কারণে শিক্ষকদের ভাতার বিলের টাকা তোলা যায়নি। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের সাথে কথা বলে ভাতার টাকা ফেরত এনে শিক্ষকদের বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।