গৌরনদী
হস্তান্তরের আগেই আগৈলঝাড়া বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র ভবনে ফাঁটল
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ আগৈলঝাড়া উপজেলা বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের ভবনটি হস্তান্তরের আগেই ফাঁটল দেখা দিয়েছে। অতিসম্প্রতি প্রকল্প পরিদর্শনে এসে নিন্মমানের কাজ দেখে দাতা দেশের প্রতিনিধিরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাইকার আর্থিক সহায়তায় রুরাল ইলেকট্রিক্যাল আপগ্রেশন প্রজেক্ট প্যাকেজ ১১/১৩ এর আওতায় জার্মান কোম্পানী সিমেন্সের ইন্ডিয়া ব্রাঞ্চের মাধ্যমে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আগৈলঝাড়ার ছবিখারপাড় নামকস্থানের ৪০ শতক সম্পত্তির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়। ২০১৩ সালের ৩ জুলাই ৬কোটি টাকা ব্যয়ে আগৈলঝাড়ায় ৫ মেগাওয়াট এমপিআর ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র নির্মান প্রকল্প ও ১৩.৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন একনেকে পাশ হয়। পরবর্তীতে এমপিআর ক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ মেগাওয়াটে উন্নীত করে বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য এনার্জি কমিশন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দেয়া হয় সিমেন্স ইন্ডিয়া কোম্পানিকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশাল পল্ল¬ী বিদুৎ সমিতি-২ এর একাধিক প্রকৌশলী জানান, তদারকির দায়িত্বে থাকা সংশি¬ষ্ট কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উচ্চ মূল্যের মালামালের পরিবর্তে নিন্মমানের মালামাল দিয়ে সিভিল ওয়ার্কের কাজগুলো সম্পন্ন করেছেন। তাও ত্রুটি মুক্ত নয়। কাজের শর্ত অনুযায়ি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক বছর ওই প্রকল্প রক্ষনাবেক্ষন করার কথা থাকলেও তারা তা করেনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের ভবনটি হস্তন্তরের আগেই বিভিন্নস্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি দাতা দেশের প্রতিনিধিরা আগৈলঝাড়ার প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে নিন্মমানের কাজ দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সিডিউল বহির্ভূত ভাবে নিন্মমানের কাজ সম্পর্কে কাজের তদারকির দ্বায়িত্বে থাকা জাইকার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল চন্দ্র দে বলেন, বালু ফিক্সিংএর জন্য ভবনে ফাঁটল দেখা দিলেও তা প্রকল্পের কোন ক্ষতি করবে না। আগৈলঝাড়া পল¬ী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল মালেক নিন্মমানের কাজের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্প হস্তান্তর করা হয়নি। অনানুষ্ঠানিকভাবে সঞ্চালনের কাজ চলছে। ভবনে ফাঁটল সম্পর্কে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি উলে¬খ করেন।