বরিশাল
উজিরপুরে ৩য় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী অপহরনের ২৬ দিনে উদ্ধার হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ উজিরপুরে ৩য় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী লাবনী আক্তার অপহরনের ২৬ দিনে অতিবাহিত হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহরনের ২৮ দিন পর বরতা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বরতা প্রাইমারী স্কুলের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী লাবনী আক্তার (১০) জয়শ্রী গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছোট মেয়ে, তার মা রোকসানা বেগম বিদেশে চাকুরী করে। লাবনী তার খালা রেহানা বেগমের বাড়িতে বসবাস করত। গত ৪ মে স্কুল ছাত্রী লাবনী ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেরিনা আক্তার এর সাথে বরিশাল তার বাসায় যায়। বিষয়টি তার খালা রেহানা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে। তিনি জানান আমি ওর মায়ের সাথে কথা বলে ওকে বরিশাল নিয়ে আসি। ৭ ই মে লাবনীকে নিয়ে স্কুলে আসে প্রধান শিক্ষিকা। ওই দিন দুপুর থেকেই লাবনী আক্তার নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে লাবনীর খালা রেহানা বেগম জানান, আমি রাত ৮ টায় যখন বাড়িতে না আসায় ওই স্কুলের শিক্ষিকা গোলাম মোরশেদা কাছে গেলে তিনি জানান রেহানা চলে গেছে। তারপর থেকে লাবনীকে এখন ও খুঁজে পাওনা যায়নি। রেহানা আরো জানান প্রধান শিক্ষিকার আত্মীয় মিজানুর রহমান ফোন দিয়ে আমাদের থানায় অভিযোগ জানাতে নিষেধ করে। সে হুমকি দিয়ে বলে লাবনী আছে খুঁজে পাওয়া যাবে। ১৩ দিনেও লাবনীকে খুজেঁ না পেয়ে ২০ মে রেহানা বেগম উজিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। ডায়েরী করার পর থেকে তাদেরকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। অবশেষে গত ৩১ মে প্রধান শিক্ষিকা সেরিনা আক্তার , শেফালী বেগম ও প্রধান শিক্ষিকার ননদ মিজানুর রহমানকে আসামী করে উজিরপুর মডেল থানায় অপহরন মামলা করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেরিনা আক্তার জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক মামলা করা হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ জানান, আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।