বরিশাল
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আগৈলঝাড়ার আওয়ামীলীগ দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১০
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের ৫ জনকে আগৈলঝাড়া, গোপলগঞ্জের কোটালীপাড়া ও বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতির্ করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আগৈলঝাড়ায় উপজেলার বাগধা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ মোকলেস সরদারের (৫০) সঙ্গে অদুদ খানের (৩৮) দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বাগধা বাজারে চায়ের দোকানে আড্ডায় বসে অদুদ খান বলে দলের মধ্যে কোন দালাল রাখা হবে। এ কথা শুনে মোকলেস রাগান্বিত হন। এ বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মোকলেস সরদার প্রতিপক্ষ অদুদ খানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ৭টার দিকে উভয় পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.তৈয়ববুর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
আওয়ামীলীগ নেতা অদুদ খান অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার ঘটনা জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মোকলেস সরদারের নেতৃত্বে ১২/১৫ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায় পিটিয়ে রক্তাক্তভাবে জখম করে। খবর পেযে আমার সমর্থকরা বিষয়টি জানতে চাইলে মোকলেস সরদারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমার সমর্থক ইমরান খানসহ ৬জনকে আহত করে। আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ অভিযোগ অস্বীকার করে মোকলেস সরদার বলেন, আমি বা আমার সমর্থকরা হামলা চালাইনি। আমি আমার ৮/১০ সমর্থককে নিয়ে বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অদুদ খানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলায় চালায়। এ সময় আমাকে আমার সমর্থক সজীব সরদার (২৪)সহ ৪ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমিসহ তিনজনকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সজীবকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগধা ইউনিয় আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউনুছ আলী মিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের এই দূর্যোগের সময় এ ধরনের ঘটনার জন্য উভয়ে বিচারের আওতায় আনা হবে। দলীয় সিদ্বান্ত মোতাবেক এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এখনো কোন পক্ষ মামলা দাযের করেনি। করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।