গৌরনদী
অবাধ উন্মুক্ত নিরীক্ষা হতে পারে বিশ্বাসযোগ্যতা, কমবে সংক্রমন
জহুরুল ইসলাম জহিরঃ আজকে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “দক্ষিন কোরিয়া ব্যপকহারে পরীক্ষার গুরুত্ব দিয়েছে” শিরোনামে দক্ষিন কোরিযার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ের একটি লেখা পড়লাম। শুরুতেই তিনি লিখেছেন, কোভিট-১৯ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বড় হুমকি তৈরীর পাশাপাশি বিশ্বের অর্থনীতিতে অত্যন্ত বিরুপ প্রভাব ফেলেছে।২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। এখনকার সংকট কাটিয়ে উঠার আশাবাদও তিনি ব্যক্ত করেছেন। দুই মাস ধরে দক্ষিন কোরিয়া ছিল কোভিট-১৯ চ্যালেঞ্জের কেন্দ্রবিন্দুতে। যদিও পূর্ব প্রস্তুতি ও স্বচ্ছ পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে দ্রুত স্থিতিশীল করেছে। দ্রুত নিদৃষ্ট সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আর সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের নজরদাড়িতে রাখতে এবং নিজেই নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা যাতে করতে পারেন তা নিশ্চিত করনের কথা বলেছেন তিনি।
একই সাথে আজকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এক অনুজ সহকর্মীর আইডিতে পোষ্ট করা একটি অংশ তুলে ধরলাম, বগুড়ার কাহালু উপজেলার ঘটনা। ওই ব্যক্তির স্ত্রী বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার সুবাধে তিনি গাজীপুরে থাকেন। ব্যক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়, এক পর্যায়ে প্রচন্ড জ্বরে অচেতন হন। খবর পেয়ে স্ত্রী সেখানে গিয়ে প্রতিবেশী সহায়তা চান কিন্তু করোনা আতঙ্কের কোন সাড়া মেলিনি।স্ত্রী নিজেই হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রাতভর এ্যাম্বুলেন্স খুঁজে তা পেতে ব্যর্থ হন। অবশেষে হটলাইনে ফোন করে বিফল ও হতাশ হন। সব কিছুকে পেছনে ফেলে ওই ব্যক্তি শনিবার সকালে মারা যান। পরবর্তি ঘটনা আরো ভয়ংকর!লাশ দাফনের উদ্যোগ নিলে করোনা আতঙ্কে কেউ লাশ স্পর্শ করতে রাজি হয়নি। স্ত্রীর অনুনয় বিনয়ের পরে পাশ্ববর্তি এলাকার দুজন ব্যক্তি লাশ দাফনে রাজি হন। কিন্তু লাশ দাফনের জন্য কবর খুঁড়তে গেলে স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন। শেষে অনেক খোঁজাখুঁজির পর খানিকটা দূরে খাস সম্পত্তির উপরে কবর দেয়ার অনুমতি পান। কিন্তু সেখানেও এলাকাবাসী বিপত্তি, সেখানেও কবর খুঁড়তে বাঁধা। পরিশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে খাস জমিতে দাফন সম্পন্ন হয়।এই দুটি সংবাদ তুলে ধরেই আমি আজকে আমার লেখা শুরু করতে চাই।
প্রিয় পাঠক আমার শুক্রবারের লেখাটিতে ‘আমি প্রতিটি সন্দেহভাজন রোগী শনাক্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জায়গাটায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি বলেছিলাম’ । কারন হিসেবে প্রয়োজনীয় জায়গা গুলোতে এখনোও পরীক্ষাগার বা ল্যাব স্থাপন করতে না পারার যুক্তি তুলে ধরে অতিদ্রুত সময়ে সর্বত্র ল্যাব স্থাপনে জন্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছি।এও বলেছিলাম এখনো মানুষ নিজের সন্দেহ থেকে ইচ্ছা করলেই পরীক্ষা করানোর সুযোগ নেই। এই সুযোগটি অবাধ করতে হবে। দেশের প্রত্যন্ত পল্লির একজন সংবাদকর্মীর দাবির প্রতি সমর্থন না দিলেও দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ড মুন জায়ের নিজ দেশের অভিজ্ঞ আলোকে লেখার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে করেনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিশ্চিকরনে পরীক্ষাগার বা ল্যাব চালু করা হোক। দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ের পরামর্শ অনুযায়ি “করেনার উপসর্গ নিয়ে আসা সকল ব্যক্তির পরীক্ষর সুযোগ দিয়ে করোনা সনাক্ত করা হোক। দ্রুত নিদৃষ্ট সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আর সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হোক। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের নজর দাড়িতে রাখতে এবং নিজেই নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা যাতে করতে পারেন তা নিশ্চিত করা হোক। আমরা যদি এটা করতে ব্যর্থ হই তবে আমাদের জন্য তা হবে ভয়াবহ ক্ষতিকর। করোনা উপসর্গ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা ব্যক্তিদের মধ্যে যদি একজনও করোনায় সংক্রমিত হয়ে থাকেন তবে তার দ্বারা এলাকা সংক্রমিত হবে। ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পরবে করোনা ভাইরাস। পরিস্তিতি হবে ভয়াবহ। তাই আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। নিজে থেকে পরীক্ষা করতে চাওয়া ব্যক্তিদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রতিদিনই আমাদেরকে দেশের করেনা পরিস্তিতি অবগত করছেন। আমরা দায়িত্বশীল সংবাদকর্মীসহ সু-নাগরিকরা এটি অবশ্যই বিশ্বাস করি। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জনমত তৈরীতে একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। সেখানে দেখিছি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া তথ্য নিয়ে অনেকেই বিরুপ মন্তব্য করেছেন। এই জায়গাটাতে আমি মনে করি, “অবাধ উন্মুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাই হতে বিশ্বাসযোগ্যতা”। এদিকে, ঢাকাসহ দেশের ১২ কেন্দ্রে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডাক্তার মো. বাকির শেবাচিম হাসপাতালে করোনার সংক্রামক শনাক্তকরণের জন্য একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন৷ পরীক্ষা কেন্দ্রটি দ্রুত স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে তাগিদ পত্রও পাঠিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানান। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা দেন আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। কিন্তু কবে নাগাদ শেবাচিমে পরীক্ষা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। অতী জরুরীভাবে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ল্যব স্থাপন করা হোক।
শনিবার ৭১র টেলিভিন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সংক্রম রোগ বিশেষজ্ঞ বেনজির আহম্মেদ বলেছেন, “পরীক্ষার অভাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলছে”।তিনি এও বলেছেন, “দেড় মাস আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতি-নির্ধারনী কমিটিকে দেড় লাখ কীট সংগ্রহসহ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছিলাম কিন্তু তা শোনেননি। আসলে এই দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদেরকে বিশেষজ্ঞসহ এই বিষয়ে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াটা বাঞ্চনীয়। এমনকি প্রতিটি নাগরিকের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। সামান্য একটি ক্ষুদ্র ইনফরমেশনও করেনা মোকাবেলায় আমাদের কাজে লাগতে পারে। বগুড়ার কাহালু উপজেলার ঘটনাটি খতিয়ে দেখে তরিৎ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকার ও করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটির প্রতি সবিনয় অনুরোধ রাখছি। কারন ওই ঘটনা যদি সঠিক হয়ে থাকে। বা ওই ব্যক্তি যদি সত্যিই করেনার মারা গিয়ে থাকে তাহলে এখনই মৃত ব্যক্তি সংস্পর্শে আসা স্ত্রীসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের সনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে, কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে মৃত ব্যক্তির দাফন কাপনে অংশ ব্যক্তিকে। পুলিশ বাহিনীর যে সদস্যরা দাফনে সহায়তা করেছে তাদের সু-রক্ষা নিয়েও ভাবতে। নয়তো আশপাশের লোকজন সংক্রমিত হতে পারে। শুদু কাহালু নয়, দেশের প্রতিটি এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে গুরুত্ব দিয়ে তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে এবং সরকারিভাবে পদক্ষেপ গ্রহনে করতে হবে। নতুবা দেশের অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
গত ৩০ জানুয়ারি ইতালী প্রধানমন্ত্রী গুসেপ কন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপস্থাপন করে বলেছিলেন, ইতালীতে দুইজন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। এ সময় তিনি এও বলেছিলেন, ওই দুইজন চীনা নাগরিক। যারা উহান প্রবাসী, ইতালী থেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্য এসেছিলেন। আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই, আমরা সকলেই সচেতন হই।অথচ শনিবার পর্যন্ত ইতালীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ হাজার ৪শত ৭২ জন, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২শত ২৩ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ১২ হাজার, ৩ শত ৮৪ জন। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলো আমেরিকা-স্পেন-গ্রেট ব্রিটেন-কানাডা, ইতালী, সিংগাপুর, ফ্রান্স যখন করোনা সামলাতে সবকিছু লকডাউন করে দিচ্ছে। করোনাকে মহামারী ঘোষণা দিয়ে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছেন। তখনও আমরা তাদের থেকে কোন শিক্ষা নিতে পারি নাই। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৬লাখ প্রবাসী বাংলাদেশে এসেছে। তাদের কোয়ারেন্টি থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কেউই তাতে গুরুত্ব দেননি সরকারি নির্দেশনা মানেননি। বরং মানুষের মাঝে লোকালয়ে রাস্তায, হাট-বাজারে অবাধে ঘুরেছেন। পরবর্তিতে সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করে সকলকে ঘরে থাকতে বলেছে তাও বিন্দমাত্র আমরা মানিনি।কারন হিসেবে অনেকের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেছে, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা দেয়া তথ্য অনুযায়ি বাংলাদেশে আক্রান্ত ৪৮, সুস্থ-১৫, মৃত ৫জন মাত্র। আমাদের দেশে বিদেশের মত এমন কিছু হবে না। তাদের সঙ্গে আমার প্রত্যশাও তাই। তাই বলেণ কি সতর্ক হবো না? করেনা কতোটা ভয়াবহ তা আমরা মানতে ও বুঝতে চাই না।আমি আপনারদেকেই বলছি গত ৩০ জানুযারি ইতালীতে কিন্তু মাত্র ২ জন আক্রান্ত ছিল। বর্তমান পরিস্থিতি সবাই আবগত। তাই দয়া করে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করুন। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। নিজে সচেতন হই অপরকে সচেতন করি। সবাই কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন মেনে চলি। তাহলেই আমরা সংক্রমন থেকে বাঁচতে পারবো।
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোকপাত করতে চাই। মাস্ক না পরায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান কোয়ারেন্টিন না মানায় বৃদ্ধদের কানধরে উঠবস করানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠে। পাশাপাশি নিন্দা প্রতিবাদ বয়ে যায় দেশ জুড়ে। যার প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাইয়েমা হাসানকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন এবং বিভাগীয় মামলা রুজুর আশ্বস দেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানকে নিয়ে আমার লেখায় আমি বলেছিলাম, “আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এই অসহায় গরীবের টাকায় আপনার বেতন হয়। হয়তো আপনার বাবাও এই বয়সের ও এই অবস্থার হতে পারে। হয়তো পেটের দায় রাস্তায় এসেছে। তাই যে অন্যায় করেছেন এই খাটি মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন”। ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই সাইয়েমা হাসানকে। তিনি বৃদ্ধের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, আমি স্বীকার করছি আমার কাজটা করা ঠিক হয়নি, আমি মন থেকে এর জন্য অনুতপ্ত। আমি অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সাইয়েমা হাসানের অনুশোচনা প্রেক্ষিতে দেশবাসিসহ সরকারের কাছে আমার অনুরোধ সাইয়েমাকে যেন এই ভূলের জন্য গুরুদন্ড দেয়া না হয়। কারন সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বর্বরোচিত নির্যাতনকারী জেলা প্রশাসকের বিচার আর এই সহকারী কমিশনার বিচার একই মাপকাঠিতে হবে না। বয়সের তারতম্যভেদ বিবেচনা করে বিচার হওয়া উচিত। পড়াশোনা শেষ করে কেবল চাকুরীতে যোগদান করেছে। হয়তো এও হতে পারে কর্মস্থলে নতুন যোগদানের কারনে সহকারী কমিশনারের অভিজ্ঞতা কম ছিল, অথবা নতুন চাকুরী হিসেবে সরকারের সিদ্বান্তের প্রতি আনুগত্য বেশী ছিল। অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে বাস্তবতা মেলাতে পারেনি। তা না হলে ওই অমানবিক কাজের ছবি তুলে নিজেই তা পোষ্ট করা কিংবা সরকারি ওয়েবসাইডে দিত না। তাই বিষয়টি বড় দন্ড দেয়ার আগে যেন সব বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা হয়। নয়তো দেশের প্রয়োজনে সরকারের ঘোষিত নানান নির্দেশনা পালনে অনেকেই নিরুৎসাহিত হবেন।যা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া প্রজাতন্ত্রের একজন নতুন কর্মী হিসেবে সাইয়েমা হাসানকে একবার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। সাইয়েমা হাসানের পরিস্থিতি দেখে সকল কর্মকর্তাকে আরো সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্র অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে আমিও জনপ্রশাসন সচিবের নির্দেশনার সুরে সুর মিলয়ে বলাবো আসুন, “আমরা নাগরিকের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করি”।
সবশেষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আকিজের নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে হাসপাতাল নির্মান সম্পর্কে বলেই আজকের লেখার ইতি টানতে চাই। দেশের করেনা আতঙ্ক মোকাবেলা ও সংক্রমিত রোগীদের সেবার জন্য আকিজ গ্রুপের হাসপাতাল নির্মানের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে। করোনা যুদ্ধে মোকাবেলা করে বিজয়ী হতে হলে সকলকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয়দের সৃষ্টি জটিলতার কারনে হাসপাতাল নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। মহামারি করোনা ব্যাপক ছড়িয়ে পরার আগেই আমাদের হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে হবে। তাই জরুরী ভিত্তিতে জটিলতা নিরসন করে আকিজ গ্রুপের হাসপাতাল নির্মান কাজ ত্বরান্তিত করতে সরকার নজর দিবেন এ প্রত্যশা থাকল। লেখকঃ জহুরুল ইসলাম জহির, সিনিয়র সাংবাদিক, প্রথম আলো প্রতিনিধি, গৌরনদী।তারিখঃ ২৯/৩/২০২০ইং