গৌরনদী
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ৪শ বছরের প্রাচীন বার্ষিক কালীপূজা স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম / বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দিরে চারশ বছর ধরে ২১ মার্চ দিবারাতভর বার্ষিক কালী পূজা উদযাপন করে আসছিল সনাতন ধর্মের ভক্তরা। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আজ শনিবারের এ বার্ষিক পূজা বন্ধ করে দিয়েছে মন্দিরের ট্রাস্ট্রি বোর্ড।
বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দিরের ট্রাস্ট্রি বোডের্র সভা কক্ষে গতকাল ট্রাষ্টি বোর্ডের সভাপতি, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ট্রাস্ট্রি বোর্ডের জরুরী সভায় এ সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। প্রবীন ভক্তরা জানান, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দিরটি প্রাচীন কীর্তির একটি । চারশ বছর ধরে এখানে ২১ মার্চ বার্ষিক কালী পূজা হয়ে আসছে। দক্ষিন এশিয়ার প্রাচীন এ মন্দিরটি ভক্ত পূন্যার্থীদের কাছে সর্ববৃহত মনমুগ্ধকর ও শৈল্পিক স্থাপনার এক দর্শনীয় ও পূন্য স্থান । জনশ্রতি আছে যে, আজ থেকে চারশ বছর আগে হিমালয় পর্বত ও কানাডা থেকে আগত কোন এক সন্নাসী “মায়ের এ মন্দির” প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তিতে উনবিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে তৎকালীন জমিদার ভূপতিমোহন বকসি মন্দিরটি সংস্কার করেন। বার্ষিক কালী পূজায় দেশের বিভিন্ন জেলাসহ ভারত, নেপাল, ভূটান তথা দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীা হিন্দু ধর্মবলাম্বিরা মায়ের আর্শিবাদ নেওয়ার জন্য এখানে বাৎসরিক পূজায় যোগ দেন। চৈত্র মাসের বিশেষ এক তিথিতে বাৎসরিক পূজায় মন্দির চত্বর বিভিন্ন বয়সের মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। পূজা উদযাপন কমিটর সভাপতি প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, চারশ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বার্থী শ্রীশ্রী তাঁরা মায়ের মন্দিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারে ২১ মার্চ বার্ষিক পূজার প্রস্তুুতি সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের কারনে ট্রাষ্টিবোর্ড সভায় স্থগিত করা হয়েছে।
ট্রাষ্টি বোর্ডের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশালের বিশিষ্ট সদস্য সমাজ সেবক বিজয় কৃষ্ণ দে, বরিশাল নগরীর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নায়ারন চন্দ্র দে নারু, ট্রাট্রি বোর্ডের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শান্তুনু ঘোষ, শিশির কুন্ডু, অমর কৃষ্ণ রায়, মাষ্টার গৌরাঙ্গ লাল বিম্বাস, প্রণব রঞ্জন দত্ত, মোহল লাল চক্রবর্তী, মণীষ চন্দ্র বিম্বাস, প্রদীপ কুমার দত্ত, সজ্ঞয় কুমার পাল, বিপ্লব সরকার প্রমূখ।