উজিরপুরে এক মাস শিকল বেঁধে স্কুল ছাত্রীকে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ প্রেমের সম্পর্কে পরিবারের লোকজনদের অমতে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দীর্ঘ একমাস হাতে ও পায়ে শিকল বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানা পুলিশ শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় স্কুল ছাত্রী ফাতেমা আক্তার অমিকে উদ্ধার ও দু’জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার উজিরপুর পৌর সদরের রাখালতলা সড়কের সাইদুর রহমানের বাড়িতে।
উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের চৌমুহনি গ্রামের সৌদি প্রবাসী রাশেদ হাওলাদারের এসএসসি পরক্ষিার্থী কন্যা ফাতেমা আক্তার অমি (১৫) জানায়, বরাকোঠা গ্রামের মান্নান শরীফের পুত্র রুহুল আমিনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ১৭ জানুয়ারি তারা দু’জনে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ ঘটনায় তার মা পারভীন বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ তাকে ও রুহুল আমিনকে আটক করে। পরে আদালত থেকে তাকে (অমি) তার মায়ের জিম্মায় আনা হয়। সেই থেকে প্রায় একমাস যাবৎ রাখালতলা সড়কের তার (অমি) খালা রুমা বেগমের বাসায় আটকে রেখে হাতে ও পায়ে শিকল পরিয়ে প্রতিদিন অমানুষিক নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিকল পরিহিত অবরুদ্ধ অবস্থায় সে (অমি) সকলের অগোচরে প্রতিবেশী একজনের মোবাইলে ফোন দিয়ে উজিরপুর থানার ওসিকে বিষয়টি জানিয়ে তাকে উদ্ধারের আকুতি জানান।
ওসি নুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমি তাৎক্ষনিক থানার এস.আই গাজী শামীম ও এস.আই আশিষ সরকারকে সাথে নিয়ে রাখালতলা সড়কের অমির খালু সাইদুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হাত ও পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় অমিকে উদ্ধার করি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অমির খালা রুমা বেগম পালিয়ে গেলেও অমির মা পারভীন বেগম ও তার খালার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোহেল গোমস্তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে উদ্ধারকৃত ফাতেমা আক্তার অমি বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই থানার একটি মামলা দায়ের করেন।