গৌরনদী
উজিরপুরে ব্যবসায়ীর কঙ্কাল উদ্ধার, হত্যার কারন কি পরকীয়া?
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজারের ব্যবসায়ী নিখোঁজের এক বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবানীপুরের একটি জঙ্গলের ডোবার পাশ থেকে কঙ্কাল ও ব্যবসায়ীর পরিধেয় জ্যাকেট, মোবাইল, মানিব্যাগ ও জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিহত যুবকের বাবা হালিম হাওলঅদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় অপহরন করে হত্যার একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের ধারনা পরকীয়ার সম্পৃক্ততার জের ধরে যুবককে অপহরনের পর হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানান, উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের ওটরা গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে ও ভবানীপুর বাজারের কাঁচা মালের ব্যবসায়ী কাওছার হাওলাদার (৩৫) ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোজাখুজি করে তার সন্ধান পাননি। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক নারী ভানীপুর গ্রামের কাজী বাড়ির বাগানে লাকরি সংগ্রহ করতে গিয়ে ডোবার পাশে একটি জ্যাকেট দেখতে পান। জ্যাকেটটি ধরতেই তাতে মোড়ানো মানুষের কঙ্কাল দেখতে পায়। এ সময় স্থানীয় লোকজনকে খবর দিলে স্থানীয়রা উজিরপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কঙ্কাল ও কঙ্কালে জড়ানো থাকা জ্যাকেট, জাতীয় পরিচয় পত্র, মানিব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। কঙ্কালের সঙ্গে উদ্ধারকৃত মালামাল দেখে পরিবারের লোকজন প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ী কাওছারের লাশ বলে সনাক্ত করেছে।
ব্যবসায়ী কাওছার হাওলাদারের বাবা হালিম হাওলাদার জানান, তার ছেলের সঙ্গে এলাকার কারো সঙ্গে কোন বিরোধ ও শত্রæতা ছিল না। তার ধারনা ছেলে কাওছারকে অপহরন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারনে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে এখনো তিনি পরিস্কার কোন কিছুই বলতে পারছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকা একাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী জানান, নিহত কাওছারের ব্যবসায়ী বা পারিবারিক কোন শত্রæতা ছিল না। কিন্তু তার একাধিক পরকীয়া থাকার বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোচিত ছিল। তাদের ধারনা পরকীয়ার সূত্র ধরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
উজিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল আহসান জানান, কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় পারিবারিক সদস্যরা কঙ্কাল শনাক্ত করার পর নিহত ব্যবসায়ী কাওছার হাওলাদারের বাবা হালিম হাওলাদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উজিরপুর মডেল থানায় অপহরন করে হত্যা একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যবসায়ী কাওছার হাওলাদারকে অপহরনের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে । এলাকায় জমাজমি নিয়ে বিরোধ, ব্যবসায়ীক বিরোধ, ও পরকীয়ার ঘটনার তিনটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জমাজমি ও ব্যবসায়ীক বিরোধের কিছুই পাওয়া যায়নি। পরকীয়ার বিষয়টির সূত্র ধরে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূন তথ্য পাওয়া গেছে। খুব শ্রীঘ্রই হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা হবে।