গৌরনদী
গৌরনদীতে সন্ত্রাসী হামলা বাড়ি ভাঙচুর লুট, আহত-৮
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার তিখাসার গ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে গতকাল শুক্রবার সকালে ৩৫/৪০ জনের একদল শসস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। হামলাকারীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে গৃহকর্তাসহ ৮ জনকে জখম করেছে। এ ঘটনায় গতকাল গৌরনদী মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় রাস্তা নির্মান সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পেট্রো বাংলার কর্মকর্তা গৌরনদী উপজেলার তিখাসার গ্রামের মো. আলী হোসেনের সাথে একই গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলনের উদ্যোগে জনস্বার্থে উভয়ে ৩ফুট করে জমি দিয়ে রাস্তা নির্মানের সিদ্বান্ত চূড়ান্ত হয়। যাহা একটি জুডিশিয়াল ষ্টম্পে লিখিত হয়।
শহিদুল ইসলাম জানান, আলী হোসেন গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে রাস্তায় জমি না দিয়ে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেন। নির্মান কাজে বাধা দিলে জীবননাশসহ সমচিত শিক্ষা দেয়া হবে হুমকি দিয়ে আসছিল। হুমকির প্রেক্ষিতে তিনি (শহিদুল) গত বৃহস্পতিবার গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। স্থানীয় ইয়াসিন সরদার (৭০), ইদ্রিস আলী(৪৮), মোতালেব হাওলাদার(৫৫)সহ অনেকেই জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে আলী হোসেন তার মিস্ত্রী নিয়ে রাস্তার জমি না রেখে বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করেন। এসময় শহিদুল ইসলাম বাধা দেয়। এ নিয়ে শহিদুলের সাথে আলী নির্মান মিস্ত্রির কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আলী হোসেনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী মো. মিজানুর রহমান (৪০)র নেতৃত্বে তার সহযোগী রিয়াজ বয়াতি (২২), ইকবাল বেপারী(৩৮) লিটন পাইক(২৮)সহ ৩৫/৪০ জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী দেশীয় ধারাল অস্ত্র হকিষ্টি, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আকস্মীকভাবে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে পাকা বাসভবনে হামলা চালায়।
শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার ভবনের জানালার গ্লাস, দরজা ভাঙচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে বাড়ির লোকজনকে পিটিয়ে জখম করেছে। শহিদুলের স্ত্রী শাহিনা বেগম (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা ষ্টিল আলমারি ভাঙতে গেলে আমি বাধা দেই তখন পিটিয়ে আমার বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। সন্ত্রাসীরা আলমিরা ভেঙ্গে নগত টাকা স্বর্নালংকার ও মূল্যবান মালামালসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে। হামলায় শহিদুল ইসলাম (৪৮), তার স্ত্রী শাহিনা বেগম(৩৫), কন্যা কলেজ ছাত্রী জুলিয়া আকতার(২১), জামাতা সেনাসদস্য রাজীব(২৭), পুত্র আল আমিন (১৮) নাতী আরাব লিখন (৫ মাস)সহ ৮ জন আহত হন। অভিযোগের ব্যপারে আলী হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলার সাথে আমার কোন লোকজন জড়িত নয়, শহিদুল একজন সন্ত্রাসী। বাড়ির নির্মান কাজ করতে গেলে সে আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না দেয়ায় আমাকে জব্দ করতে বাড়িতে হামলার নাটক সাজিয়েছে। হামলাকারী মিজানের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলার সঙ্গে আমি যুক্ত নই। সন্ত্রাসীর বাড়িতে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন হামলা চালিয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত এস,এম, আফজাল হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।