বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় কলেজ ছাত্রকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মাগরা গ্রামে গোষ্ঠীগত বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে কলেজ এক ছাত্রকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতরভাবে অসুস্থ্য কলেজ ছাত্রকে ওই রাতেই আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র মৃদুল শিকারী বাদি হয়ে ৪ জনের নামোউল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে গতকাল শুক্রবার আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয়রা জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মাগরা গ্রামে শিকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে জয়ধর বংশের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এতোমধ্যে অসংখ্যবার হামলা সংঘর্ষ ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে। এমন কি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। উপজেলার উত্তর বড়মগড়া গ্রােেমর প্রমথ রঞ্জন শিকারীর ছেলে ঢাকা হাবিবুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মৃদুল শিকারী (১৯) শারদীয় দূর্গা পূঁজা উপলক্ষে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। উত্তর বড়মাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুর্গা পূজার অনুষ্ঠানে বুধবার রাতে নিখিল জয়ধরের বখাটে ছেলে নয়ন জয়ধর (২০) তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মÐবে মদ পান করে মাতলামি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি শুরু করে। এ সময় মৃদুল শিকারী তার প্রতিবাদ করে। এতে নয়ন জয়ধর তার উপর ক্ষিপ্ত হন।
কলেজ ছাত্র মৃদুল শিকারী অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ৯টার দিকে আমি বড়মাগরা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জয়ধর বাড়ির সন্নিকটে পৌছলে নিখিল জয়ধরের বখাটে ছেলে নয়ন জয়ধরের নেতৃত্বে তার সহযোগী রনি অধিকারী, পঙ্কজ অধিকারী, উজ্জল জয়ধর ও সাগর জয়ধরসহ ১০/১২জন মাদকাসক্ত বখাটে পথরোধ করে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে মারধর করে এক পর্যায়ে পাশ্ববর্তি ডোবায় নামিয়ে আমাকে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আমার কান্নাকাটির শব্দ শুনে কয়েকজন পথচারি এগিয়ে আসলে হামলাকারী বখাটেরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা আমাকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে ৪ জনের নামোউল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে নয়ন জয়ধরের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। রনি অধীকারী ফোন রিসিপ করেননি। আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ বক্তিয়ার আল মামুন বলেন, রোগীর অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে এবং শঙ্কামুক্ত। এ প্রসঙ্গে আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ জমা দেওয়ার বিষয়টি এখনো আমার নখদর্পনে না। তবে লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।