প্রধান সংবাদ
জাল স্বাক্ষর দিয়ে বৃদ্ধের পেনশনের ৭ মাসের টাকা তুলে আত্মসাত করলেন ব্যাংক কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বৃদ্ধ মতিউর রহমানের পেনশনের ৭ মাসের পেনশন ভাতার টাকা জাল স্বাক্ষর দিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন ব্যাংক কর্মকর্তা । অবশেষে জাতিয়ালি প্রমান মিললে গত বুধবার আত্মসাতকৃত পুরো টাকাই ফেরত দিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা।
স্থানীয় লোকজন, ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সানুহার গ্রামের মৃত গফুর মিয়ার পুত্র স্কুল শিক্ষক মো. মতিউর রহমান (৯৯) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করতেন। ২৫/৩০ বছর পূর্বে তিনি অবসর গ্রহন করেন। অবসর গ্রহনের পর সোনালী ব্যাংক উজিরপুর শাখা থেকে প্রতিমাসে তিনি পেনশন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।
পুত্র জাহিদুল ইসলাম জানান, তার বাবা মতিউর রহমান অসুস্থ্য হওয়ায় অক্টোবর ২০১৫ থেকে এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত তিনি ব্যাংকে এসে পেনশন ভাতা উত্তোলন করতে পারেনি। ওই টাকা তার হিসাব নম্বরে জমা রয়েছে। কিন্তু খোজ নিয়ে জানতে পারেন তার বাবার একাউণ্টে কোন টাকা নেই। গত ৭ মাসের পেনশন ভাতার ৩৫ হাজার নয়শত ষাট টাকা একত্রে গত ১ মে তুলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার পরে জাহিদুল ইসলাম তার বাবাকে নিয়ে গত ২ মে উজিরপুর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক প্রিন্স পারভেজের কাছে আসেন এবং লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় গ্রাহক ও লোকজন জড়ো হন। এক পর্যায়ে জাল স্বাক্ষর দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ওই টাকা তুলে আত্মসাতের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
উজিরপুর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক প্রিন্স পারভেজ জানান, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মতিউর রহমানের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য ৩ মে ধার্য্য করেন। কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে জানতে পারেন গত ৭ মাসে বৃদ্ধ মতিউর কোন টাকা উত্তোলন করেননি। সোনালী ব্যাংক উজিরপুর শাখার সিনিয়র অফিসার আলী আহম্মদ মতিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ৭ মাসের পেনশন ভাতার ৩৫ হাজার ৯শত ৬০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। উজিরপুর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলী আহম্মেদের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক প্রিন্স পারভেজ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, বৃদ্ধের দাবিকৃত পুরো টাকাটা আলী আহম্মেদ পরিশোধ করেছে। বিষয়টির সুরাহা হয়েছে। এটা নিয়ে লেখালেখি না করাই ভাল।