বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় এক নারীর দাবিদার দুই স্বামী
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের এক নারীর দাবিদার দুই স্বামী। এক নারীকে নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানি এলাকায় টক অব টাউনে পরিনত হয়েছে। স্ত্রীর দাবিদার এক স্বামী মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের এনায়েত পাইক গত বিশ বছর আগে পাশ্ববর্তি কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামের ছোমেদ শেখের মেয়ে মেনোকাকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে বিয়ে দেয়ার পরে গত তিন বছর আগে স্ত্রী মেনোকা ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে কিছু না বলে তাকে ফেলে চলে আসে। সেই থেকে স্ত্রী মেনোকার সঙ্গে স্বামী এনায়েতের কোন যোগাযোগ নেই। ইতোমধ্যে মেনোকা একই উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের নগরবাড়ি গ্রামের মৃত তালেব খানের ছেলে বেকারী ব্যবসায়ি হাকিম খানের (৫৫) সঙ্গে পরকীয় জড়িয়ে একই সাথে অবৈধভাবে বসবাস করেন।
এনায়েত পাইক অভিযোগে বলেন, তার স্ত্রী মেনোকা তাকে কোন রকম তালাক না দিয়ে অন্যজনের সাথে অবৈধভাবে বসবাস করে যা দেশের প্রচলিত আইন ও শরীয়া আইন বিরোধী কাজ। এনায়েত পাইক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন, বাকাল ইউপি চেয়ারম্যোন বিপুল দাস, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২ জুন মেনোকার বাবার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের বিবাহ রেজিষ্ট্রার কাজী আব্দুস সামাদ খান মেনোকার বাবা ছোমেদ শেখের উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করা কাবিনের রেজিষ্ট্রারের সত্যায়িত কপি প্রদর্শন জমা দেন।
আরেক স্বামীর দাবিদার হাকিম পাইক জানান, তিনি বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্ট্রার মোঃ নাছির উদ্দিন খান ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে মেনোকার সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন করেন। গোপালগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের রেকর্ড কিপার নাজমা বেগম জানান, মেনোকা ও হাকিম খানের বিয়ের কোন রেকর্ড রেজিষ্ট্রার বহিতে নেই। । উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি প্রথমে সামাজিকভাবে দেখার দায়িত্ব দেয়া হবে। সমাধান হলে ভালো না হয় আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগের কপি তিনি হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে এসআই জামাল হোসেনকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।