গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় সন্তানকে জিম্মি করে মুক্তিপন দাবি ও মাকে ধর্ষনের ঘটনায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামে সন্তানকে অপহরন ও জিম্মি করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি ও মাকে ধর্ষনের ঘটনায় বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ হাতে পাননি বলে ওসি জানান।
আদালতের একটি সূত্র ও বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামের গৃহবধূর (২৭) স্বামী জীবকিার তাগিদে চট্রগ্রামে অবস্থান করেন। সাড়ে ৫ বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে গৃহবধূ ভাল্লুকসী গ্রামে থাকেন। পারিবারিক কাজকর্মে হাট বাজারে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের কাজী আব্দুর রহমানের ছেলে এনামুল কাজী (৩০) তাকে উত্যক্ত, যৌন হয়রানী ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় শিশু সন্তানকে অপহরন ও হত্যার হুমকি দেন। গত ২২ জুলাই এনামুল কাজী গৃহবধূর শিশু সন্তানকে অপহরন করে ঢাকার সাভারে একটি বাসায় আটকে রাখে এবং জিম্মি করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। গৃহবধূ জানান, এনামুল কাজী তার শিশু সন্তানকে জিম্মি করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে ও সন্তানকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে তাকে দিনের পর দিন ধর্ষন করে। সন্তানের মুক্তির জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর তার (গৃহবধূর) ভাইয়ের মাধ্যমে এনামুলকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। পরে ৩ সেপ্টেম্বর অপহরনকারী এনামুল কাজী অপহৃত সন্তানকে আগৈলঝাড়া-ঢাকা সড়কের পয়সাহাট বাইপাস সেতুর পাশে রেখে যান। অভিযোগের ব্যপারে এনামুল কাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে এনামুলকে আসামি করে গত রোববার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ মামলাটি আমলে নিয়ে আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদালতের আদেশ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।