গৌরনদী
গৌরনদী সাব-রেজিষ্টার অফিসে ছাত্রলীগের হামলা, আহত-৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসে ১৫/২০ জন ছাত্রলীগ নেতা কর্মী হামলা চালিয়ে অফিসের ফাইলপত্র তছনছ করেছে। এ সময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতিসহ ৫জন রক্তাক্ত জখম হন। এ ঘটনায় রোববার গভীর রাতে গৌরনদী সাব-রেজিষ্টার মুবাশ্বেরা সিদ্দিকা বাদি হয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতার নামোউল্লেকসহ ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানান, গত ২০ আগষ্ট গৌরনদী দলিল লেখক সমিতির সদস্য কামাল হোসেন মিয়া দলিল রেজিষ্টারী করার জন্য উপজেলা সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ে একটি দলিল সাবমিট করেন। দলিলটিতে ৭ জন দাতার মধ্যে ২জন দাতার জন্ম নিবন্ধন ও ২ জন দাতার জাতীয় পরিচয়পত্র জাল বলে সন্দেহ হয়। পরবর্তিতে পরীক্ষা নিরীক্ষার করে জালিয়াতির সত্যতা ধরা পরলে সিাব রেজিষ্টার দললিটি রেজিষ্টারি করা বন্ধ করে দেন এবং দলিলটির লেখক কামাল হোসেনকে বরখাস্ত করেন।
গত রোববার বিকেলে ওই দলিলটি সম্পন্ন করতে অফিসে আসেন ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াৎ হোসেন সুজন, সুমন মাহমুদ ও মিলন খলিফা। এ সময় সাব রেজিষ্টার মুবাশ্বেরা সিদ্দিকার সঙ্গে নেতাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গৌরনদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ কাওছার হোসেন মোল্লা সাব রেজিষ্টারের পক্ষে কথা বলেলে তার ওপর ছাত্রলীগ নেতারা হামলা চালায়। হামলায় মোঃ কাওছার হোসেন মোল্লা (৫৫) অফিস কর্মচারী এনায়েত হোসেন (৪০) মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩৮), জুলেখা খানম (৩৫), দুলাল হাওলাদার (৩৬)সহ ৫ জনকে আহত করেছে। গুরুতর আহত কাওছার হোসেন ও এনায়েত হোসেন গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাখাওয়াৎ হোসেন সুজন বলেন, আমার মা একটি দলিলের গৃহীতা। ওই দলিলটি রেজিষ্টারি করতে গেলে ৭জন দাতার মধ্যে ৪ জন দাতার কাগজপত্রে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরবর্তিতে রোববার আমি কাগজপত্র সংশোধন করে নিয়ে গেলে সাব-রেজিষ্টার দলিল নিবন্ধন করতে চাইলেও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কাওছার তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হামলা ও জখম করার অভিযোগ অস্বীকার করে সুমন মোল্লা বলেন, কলেজ সভাপতির মায়ের নামে একটি দলিল করতে গেলে কাওছার হোসেন প্ররোচনায় দলিলটি সম্পন্ন হয়নি। এ নিয়ে আমরা কথা বললে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কাওছার হোসেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সজুনকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। তখন আমাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। মিলন খলিফা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কোন অন্যায় দাবি নিয়ে সেখানে যাইনি। আমাদের একজন সহকর্মীর সমস্যার কথা শুনে গিয়েছি এবং ন্যায় ভিত্তিকভাবে কাজটি করতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম কিন্তু কাজটি না করে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করা হয়েছে।