প্রধান সংবাদ
উজিরপুরে পাওনা টাকা আদায়ে সংখ্যালঘু যুবককে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার-১
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ পাওনা টাকা আদায় করে নিতে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কাংশী গ্রামে এক সংখ্যালঘু যুবককে আটকে রেখে শিকল দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতনকারী এজাহারভূক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, আহত ও পুলিশ জানান, উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের বড়াকোঠা গ্রামের শিশু হালদারের ছেলে হতদরিদ্র কাঠ মিস্ত্রি সুমন হালদার ওরফে শংকর (৪২) বিদেশে যাওয়ার জন্য ২০১৬ সালে একই উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কাংশী গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের ৭৫ হাজা টাকা ঋৃন নেন। বিনিময়ে শহিদুলকে প্রতি তিন মাস অন্তর ২০ হাজার টাকা লাভ দিতে হয়। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে বিদেশ যাওয়া হয়নি সুমনের। দেশে কাজ করে শহিদুলকে লাভের টাকা নিয়মিতভাবে টাকা পরিশোধ করা হলেও গত ৬মাস ধরে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় সুমন।
ঋৃন গৃহীতা সুমন হালদার জানান, তিনি টাকা নেওয়ার পর থেকে নিয়মিতভাকে টাকা দিয়ে আসছিলেন। এ পর্যন্ত শহিদুলকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে শহিদুল এক লাখ বিশ হাজার টাকা দাবি করে। কিছুদিন যাবত কাজ না থাকায় টাকা দিতে পারছেন না। টাকা না দেয়ায় শহিদুল বেশ কিছুদিন ধরে নানানভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। সুমন অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার আমি বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে আসার পথে ইচলাদি বাসষ্টাÐ পৌছলে শহিদুল আমাকে ধরে জোরপূর্বক তাদের বাড়ি কাংশী গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ঘরের মধ্যে খাটের সঙ্গে শিকল দিয়ে তালা মেরে রাখে এবং হাত পা বেঁধে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। ওরা সারা রাত থেকে থেমে আমাকে মারপিট করে। আমি বহু কান্নাকাটি করে শহিদুলের কাছে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলে তা শোনেনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইকবাল হোসেন পাওয়া টাকার জন্য যুবককে অমানবিক নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশকে জানালে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেহাসপাতালে ভর্তি করে এবং নিযৃাতনকারী শহিদুরকে আটক করে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে থানা হাজতে শহিদুল ইসলাম বলেন, চাপ সৃষ্টির জন্য সুমনকে আটকে রাখা হয়েছে কিন্তু নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়। উজিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. বেলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সুমন হালদারের স্ত্রী বির্থী হালদার বাদি হয়ে শহিদুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা এক সহযোগী আসামি করে শুক্রবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এজাহারভূক্ত শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।