গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে ফরম পুরন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর জাল করে প্রবেশ পত্র, অতঃপর পরীক্ষায় অংশ গ্রহন
আগৈলঝাড়ায় প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে ফরম পুরন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর জাল করে প্রবেশ পত্র, অতঃপর পরীক্ষায় অংশ গ্রহন
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে চলতি এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরন করেন উপজেলার বাকাল নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সুব্রত দাসের মাতা সবিতা রানী দাস। পরে ওই অভিভাবক বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর জাল করে তৈরী করা প্রবেশপত্র নিয়ে ওই শিক্ষার্থী সুব্রত দাস শনিবার প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নেন।
বাকাল নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারি জয়ধরের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল নিরঞ্জন বৈরাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাকাল গ্রামের সবিতা রানী দাসের ছেলে সুব্রত দাস (রেজিষ্ট্রেশন নং-১৬১৫৪৪৫৭০৩) বাছনিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে সুব্রতর ফরম পুরন করেনি। কিন্তু সুব্রত মাতা সবিতা রানী দাস বোর্ডের একটি চক্রের সহায়তায় ওই বিদ্যালয়ের প্যাড, প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারী জয়ধরের স্বাক্ষর ও সীল জাঁলিয়াতি করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সুব্রতর ফরম পুরণ করেন। প্রধান শিক্ষক তার স্বাক্ষর জাল ও সীল জাঁলিয়াতি কথা জানার পরে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পেয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম শিক্ষার্থী সুব্রত দাসের প্রবেশপত্র বাতিল করার নির্দেশ দেন। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যামে সুব্রত মাতা সবিতা রানী দাস পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর ও সীল জাল করে ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে প্রবেশপত্র তৈরি করে। যার প্রবেশপত্র সিরিয়াল নং-১৯০৩৩০১০। রোল নং-৯০০৬৯১, রেজিষ্ট্রেশন নং-১৬১৫৪৪৫৭০৩।
ওই ছাত্র জাল প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসলে প্রধান শিক্ষক পুলিণ বিহারী জয়ধর বিষয়টি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিমকে অবহিত করেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল আজিম গতকাল শনিবার আগৈলঝাড়া পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাসকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহনে অনুরোধ জানান। ইউএনও পরীক্ষার প্রথম দিন শনিবার শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে সুব্রত দাসের প্রবেশপত্র যাচাই বাছাই করলে জালিয়াতির ধরা পরে। এ সময় সুব্রত ইউএনও’কে জানায় সে কিছুই জানে না এসব বিষয় তার মা জানে। জালিয়াতির াভিযোগ অস্বীকার করে অভিভাবক সবিতা বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ ছেলের ফরম পুরন না করায় আমি বোর্ডের কর্মচারী ফরিদ ও ভোলার লাল মোহন স্কুলের শিক্ষক মমিন উদ্দিনের মাধ্যমে আমার ছেলের ফরম পুরন ও প্রবেশপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস জানান, শনিবার পরিক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে কাগজপত্র দেখে জাঁলিয়াতির বিষয় সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করা হবে।
বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঝালকাঠি জেলায় ১০টি ও পাথরঘাটায় ২৮টি পাওয়া গেছে।