গৌরনদী
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ॥ শিশু রোগীর ভিড়ে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎকসরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১০ দিন যাবত শিশু রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন আউটডোরে ৩/৪ শত শিশু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হয়। এতে তিনজন চিকিৎসককে হিমসিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আগত শিশুরা জ্বর,সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা ও নিমোনিয়া আক্রান্ত।
হাসপাতালে গিয়ে রোগী, অভিভাবক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভৌগলিক কারনে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, কালকিনি ও মুলাদী উপজেলার লোকজন চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রচ- গরমে হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতাল সূত্র জানান, গত ১০ দিনে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু কনসালটে- মো. ফরিদ খান ও শিশু চিকিৎসক নীহার রঞ্জন ও মো. সেকেন্দার আলী মোল্লা রোগী সেবা দিতে গিয়ে সামাল দিতে পারছেন না।
ডাঃ নীহার রঞ্জন জানান, প্রতিদিন আউটডোরে ৩ থেকে ৪শ শিশু রোগী সেবা নিতে আসেন। যাদের বয়স ২মাস থেকে দেড় বছর। এসব রোগীরা শিশুরা জ্বর,সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা ও নিমোনিয়া আক্রান্ত।
গতকাল দুপুর ১২টায় হাসপাতালে গিয়ে যায়, হসপাতালের কোথায়ও পা রাখার জায়গা নেই। সর্বত্রই দেখা গেছে মায়ের কোলে শিশু রোগী। রোগীর চাপে ও প্রচ- গরমে অনেক মা ও শিশু বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। চিকিসকের রুমে ঢোকার প্রতিযোগীতায় শিশুর মায়েরা। এসময় সন্তানের চিকিৎসা নিতে আসা মা রাবেয়া বেগম (৩৮), শারমিন জাহান(২৮)সহ অনেকেই জানান, তাদের সন্তানদের কয়েক দিন ধরে জ্বর কমছে না। সাথে পাতলা পায়খানা বমি। তারা বলেন, সকাল ৮টায় এখানে আসছি দুপুর ১২টা বাজে এখনো ডাক্তারের রুমে যেতে পারি নাই।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ গৌতম বলেন, কখনো কখনো ঠা- গরম ও কিছুদিন যাবত অত্যাধিক গরমের কারনে শিশুরা বিভিন্ন রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর প্রচ- চাপ আছে তারপরেও আমরা সকলকে সেবা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করছি।