গৌরনদী
উজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু হত্যার খুনি ক্রসফায়ারে নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জল্লা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু হত্যার খুনি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কুকরিরচর গ্রামের রবিউল আলম (৩৫) মঙ্গলবার রাতে উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ফুলতলা (মাদ্রা) এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হন। রবিউল নিজেই গুলি করে ইউপি চেয়ারম্যাানকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। বন্ধুক যুদ্ধে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পিস্তল, গুলি ও ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
বরিশাল পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম (পিপিএম) জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ মাদারিপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কুকরিরচর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় ওই গ্রামের মো. লাল চান মিয়া ছেলে পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী বিভিন্ন উপজেলার ৬টি হত্যা মামলাসহ ডাকাতি, ছিনতাইসহ প্রায় ১০টি মামলার আসামি রবিউল আলমকে গ্রেপ্তার করে উজিরপুর থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পরে রবিউল আলমের কথা মত রাত তিটার দিকে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার পথে উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ফুলতলা নামক স্থানে পৌছলে রবিউল আলমের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশের উপর গুলি চালায় । সে সময় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্ধুকযুদ্ধে রবিউল মারা যায়। বন্ধুকযুদ্ধে দুই পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাদের বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রবিউল একজন পেশাজীবি ভাড়াটে খুনি। সে দেশের বিভিন্ন স্থানে চুক্তিভিত্তিক হত্যাকাÐ ঘটিয়ে থাকে। উজিরপুর জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে হত্যার পূর্বে রবিউল আলম তাকে চেয়ারম্যানকে) জিজ্ঞাসা করেছিল আপনি কি চেয়ারম্যান? এ কথার উত্তর পাওয়ার পরে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নান্টুকে গুলি করে হত্যা করে রবিউল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, ৩ রাউÐ গুলি, তিনটি চাপাতি উদ্ধার করেছে। উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাব্য সাচী সামি জানান, রাত ৪টার দিকে পুলিশ এজনকে নিয়ে আসেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির ক্ষত রয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা দেখা গেয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক আগে সে মারা গেছে। লাশের ময়না তদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে নিজ কাপড়ের দোকানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার। ওই দিন রাতে নিহতের বাবা শুকলাল হালদার বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত ১৯ আসামিকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য অনুযায়ি ২০নং অসামি হিসেবে গত মঙ্গলবার রাতে মাদারিপুর জেলার কালকিনি থেকে রবিউল আলমকে আটক করা হয়েছিল।