গৌরনদী
উজিরপুর স্ত্রী হত্যায় আরও এক স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রী রেশমা আক্তারকে হত্যার অপরাধে স্বামী সোহরাব হাওলাদারকে গত বুধবার যাবজ্জীবন কারাদÐ প্রদান করেছে বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন । এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদÐদেশ দেওয়া হয়। আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেয়া হয়। এর আগে গত ৬ নভেম্বর পৃথক আরেকটি মামলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে আরেক স্বামীকে যাবজ্জীবন প্রদান করা হয়।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে উজিরপুর উপজেলার ধামুড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সত্তার হাওলাদারের মেয়ে রেশমা আক্তারের একই উপজেলার একই গ্রামের মৃত রহম আলী বেপারীর ছেলে মো. সোহরাব সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় দুই বছর পরে স্ত্রী রেশমা সোহরাব বেপারীর ভাড়াটে প্রতিবেশী একটি বেকারীর মালিক গৌরনদী উপজেলার জনৈক সেন্টু বেপারীরর সঙ্গে পরকীয় গড়ে উঠে। পরকায়ী সম্পর্কের কিছুদিন যেতে না যেতে সোহরাব বিষয়টি টের পেয়ে যান।
ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ৮ মার্চ রাতে স্বামী সোহরাব বেপারী ও স্ত্রী রেশমা আক্তর একই বিছানায় ঘুমিয়ে পরে। সোহরাব বেপারী না ঘুমিয়ে ঘুমের ভান করে থাকে। গভীর রাতে স্ত্রী রেশমা আক্তর উঠে ঘর থেকে বেড়িয়ে পরকীয়া প্রেমিক সেন্টু বেপারীর ঘরে গিয়ে মেলামেশা করে ঘরে ফিরে এসে বিছানায় ঘুমাতে যান। এ সময় সোহরাব বেপারী স্ত্রী রেশমা আক্তারকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে গলায় রসি দিয়ে পরকীয় প্রেমিক সেন্টুর বসত ঘরের পাশে রান্না ঘরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরের দিন ৯ মা(২০১৫) নিহত রেশমার বড় ভাই মো. শাহিন হাওলাদার বাদি হয়ে উজিরপুর থানায় সোহবার বেপারী ও তার বোন কহিনুর বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াকুব আলী তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ মে আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে ১৯ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে সোহরাব বেপারীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক এ রায় প্রদান করেন। অপর আসামি সোহরাব বেপারীর বোন কহিনুর বেগমকে বেখসুর খালাস প্রদান করেছে।