গৌরনদী
কুয়াকাটা সাগরে ডুবে গৌরনদীর প্রকৌশলীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/
ঢাকার একটি পলিকেনিক্যাল কলেজ থেকে সদ্য পাশ করে পটুয়াখালির কুয়াকাটার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে যান বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মেধাবী ছাত্র সোহাগ খান (২৪)। বুধবার সকালে তিন বন্ধু মিলে সাগরে ¯œান করতে গিয়ে ভাটার টানে ¯্রােতে ভেসে নিখোজ হন সোহাগ। পরে গত বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা লাশ উদ্ধার করেন।
পারিবারিক সদস্যরা জানান, গৌরনদী উপজেলার বানিয়াশুরী গ্রােমর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. ফজলুর রহমান খানের পুত্র সোহাগ খান(২৪) ঢাকার একটি পলিকেনিক্যাল কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে লেখাপড়া শেষ করেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সেঞ্চুরী গ্রæপের প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পরে তাকে পটুয়াখালির কুয়াকাটায় অফিসে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেন।
সোহাগের বন্ধু মোহাম্মদ মহসিন(২৬) বলেন, বন্ধু সোহাগের কর্মস্থলে যোগদান উপলক্ষে আমরা তিন বন্ধু মিলে সাগর সৈকতে যাওয়ার সিদ্বান্ত নেই। মঙ্গলবার সকালে আমরা কুয়াকাটা পৌছে একটি হোটেলে উঠি। বুধবার সকালে তিন বন্ধু মিলে সাগরে ¯œান করতে যাই। ওই সময় সাগরে ভাটা ছিল। তিন বন্ধু মিলে সাগরের পানিতে কিছুক্ষন হইহুল্লা, করার পরক্ষনেই সোহাগকে সাগরের ভাটার টানে ভেষে যেতে দেখি আমরা দুই বন্ধু উদ্ধারে এগিয়ে গেলে মুহুর্তের মধ্যে সোহাগ খান নিখোজ হন। আমরা কোন রকম প্রানে বেঁচে আসি তাকে উদ্ধারে ব্যার্থ হয়ে সৈকতের উদ্ধার কর্মিদের খবর দেই। খোজাখুজি করে তাকে না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা সন্ধান চালিয়ে সোহাগের লাশ উদ্ধার করেন।
ছেলেকে হারিয়ে মা আলেয়া বেগম(৫০) বিলাব করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার বাবা লেখাপড়া শেষ করে ইঞ্জিনিযার হয়ে চাকুরীতে যাওয়ার সময় আমাকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে আমাকে বলে মা তোর কষ্ট হবে না। আমি এবারে চাকুরী করে সংসারের কষ্ট ঘোচাব। ঘরে সকলের মুখে হাসি ফোটাব। আমার বাবা কিছু না বলে চলে গেল। তোমরা আমার বাবাকে ফিরিযে দাও। গতকাল শুক্রবার সোহাগের লাশবাড়িতে পৌছলে গ্রােম শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবার ও স্বজনদের কান্নায় আকাশ বাতাশ ভাড়ি হয়ে উঠে।