গৌরনদী
মুঠোফোনের মিসকলে পরিচয়-পরকীয়া, শেষ পরিনতি হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম /মুঠোফোনে পরিচয় হওযার পরে পরকীয়ার টানে প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে পরকিয়া প্রেমিক গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লায় জাহিদুর রহমান মৃধার সাথে সংসার বেঁধেছিলেন এক সন্তানের জননী নাদিয়া বেগম (২০)। পরকীয়া প্রেমিকের সাথে এক বছর সংসার করে অবশেষে দ্বিতীয় স্বামী জাহিদুরের নির্যাতনেন শিকার হয়ে সোমবার রাতে মারা গেছে নাদিয়া বেগম।
স্থানীয় লোকজন ও পারিবারিক সূত্র জানান, কালকিনি উপজেলার চরপালরদী গ্রামের কবির আকনের কন্যা নাদিয়া বেগম(২০)র প্রায় ৩ বছর আগে আগৈলঝাড়া উপজেলার চাকুরীজীবি মোঃ মনির হোসেন(৩০)র সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। স্বামী মনির হোসেন ঢাকায় থাকা সুবাদে নাদিয়া বেগম সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। দেড় বছর আগে মুঠোফোনের মিস কলের সূত্র ধরে নাদিয়া বেগমের পরিচয় হয় গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লার মৃত মো. সেলিম মৃধার পুত্র জাহিদুর রহমান মৃধার (২১)সঙ্গে। ফোনে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরকীয়ার এক পর্যায়ে গত বছর (২০১৭) এপ্রিল মাসে নাদিয়া স্বামীর ঘর ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিক জাহিদুরকে বিয়ে করে তার সঙ্গে সংসার করেন।
নিহত নাদিয়া বেগমের মা আলেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে নাদিয়ার দ্বিতীয় স্বামী জাহিদুর রহমান একজন মাদক সেবী । সে মাদক সেবন করে প্রায়ই নাদিয়াকে মারধর করতো। নাদিয়া বিষয়টি পূবেই তাকে জানান। গত সোমবার রাতে নাদিয়ার সঙ্গে স্বামী জাহিদুরের ঝগড়াঝাটি হয়। এক পর্যায়ে জাহিদুর নাদিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে নাদিয়ার লাশ হাসপাতালে রেখে আমাকে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে খবর দেয়। আমি এসে নাদিয়ার গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পাই। আমার কন্যা নাদিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যপারে জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এলাকার লোকজন জানান, হাসপাতাল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করার পর থেকে জাহিদুর রহমান গা ঢাকা দিয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ইকবাল কবির বলেন, অভিযোগ পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে হত্যা মামলা রুজু করা হবে।