গৌরনদী
গৌরনদীতে কাল বৈশাখির ছোবলে ক্ষয়ক্ষতি ৭ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার উপর দিয়ে গত মঙ্গলবার বয়ে যাওয়া কালবৈশাখি ঝড়ে ফসল ও ঘর বিধ্বস্ত হয়ে ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে বোরো ধানের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা, পারন বরজে প্রায় ২২ লক্ষ টাকাসহ ফসলে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৪৩৫টি ঘর সম্পূর্ণ ও ৮৭৫টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়ে ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘর ও গাছ চাপা পড়ে ২৭ জন আহত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ত্রান ও পূর্নবাসন দপ্তর ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরী করে বরিশাল জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা নাছরিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বোরো ধান ও পান বরজসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু গাছপালা উপড়ে ও গাছেল ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলা ত্রান ও পূর্নবাসন অধিদপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির তারিকা তৈরী করেছেন। তাতে ঝড়ে ৪৩৫টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ ও ৮৭৫টি বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়ে ৫ কোটি ২ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে, ৩৮.৭ হেক্টর জমির বোরো ধান সম্পর্ন ও ১২৯০ হেক্টর জমির বোরো ধান আংশিত ক্ষতি (নষ্ট) হয়েছে। যার ক্ষতি পরিমান ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। আড়াই হেক্টর জমির পান বরজ সম্পর্ন ও ১০০ হেক্টর জমির পান বরজ আংশিক বিধ্বস্ত হয়ে ২১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০টাকার ক্ষতি হয়েছে। ১৮ হেক্টর জমির শাক সবজি সম্পুর্ন ও ১৫০ হেক্টর জমির শাক সবজি আংশিক ক্ষতি সাধন হয়ে ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘর ও গাছ চাপা পড়ে গুরুতর আহত ২৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য সরকারি ভাভে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হযেছে।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর গৌরনদী জোন অফিসের ডিজিএম ফজলুল হক জানান, কাল বৈশাখি ঝড়ে আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার এইচটি ও এলটি বিদ্যুৎ লাইনের ৪০টি খুটি ভেঙ্গে যায় ও ২০১ টি স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পরেছেঁ। এ ছাড়া ২৫০টি বৈদ্যুতিক মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমান ১০ লক্ষাধিক টাকা। ফলে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর উপজেলার সম্পুর্ন ও মুলাদী, বানারীপাড়ার উপজেলার সদরে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও উপজেলার গুলোর অধিকাংশ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হয়নি। সর্বত্র বিদ্যুৎ দিতে আরো ৩/৪ দিন লাগতে পারে।