গৌরনদী
ফেসবুকে ইসলামধর্ম ও নবীকে কটুক্তির পোষ্ট \ উজিরপুরের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের শিকারপুর বন্দরের বিঞ্চপ্রিয়া ফার্মেসীর মালিক, পল্লী চিকিৎসক প্রফুল্ল কুমার হালদার (৩৭) তার ফেইসবুক আইডি ‘বিঞ্চপ্রিয়া ফার্মেসী’তে ইসলাম ধর্ম ও নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কে নিয়ে কটুক্তিমূলক লেখা ও কাটুন পোষ্ট করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে পুলিশ হেডকোয়াটারে আবেদন করেন। অনুমতি পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার বার তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের শিকারপুর বন্দরের বিঞ্চপ্রিয়া ফার্মেসীর মালিক পল্লী চিকিৎসক ও পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের মনোরঞ্জন হালদারের পুত্র প্রফুল্ল কুমার হালদার (৩৭) তার ফেইসবুক আইডিতে ইসলাম ধর্ম ও নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কে নিয়ে অশালীন ও কটুক্তিমূলক লেখা ও কার্টুন পোষ্ট করেন। কটুক্তিমূলক পোস্ট ও স্ট্যাটাসগুলো স্ক্রিনশর্ট দিয়ে একে অপরের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইণ্টারনেটের ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে গত ২২ মার্চ এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রফুল্ল কুমার হালদারের শিকারপুর বন্দরস্থ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে আটকে রাখেন। এলাকার লোকজন বিষয়টি উজিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ওই দিন পল্লী চিকিৎসক প্রফুল্ল কুমার হালদারকে আটক করে ৫৪ ধারায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, প্রফুল্ল কুমার হালদারকে জেল হাজতে পাঠানোর পরে গত ২৪ মার্চ মামলার রুজুর অনুমতি চেয়ে বরিশাল পুলিশ সুপারের মাধ্যমে তিনি নিজেই (ওসি) পুলিশ হেডকোয়াটারে আবেদন করেন। গত সোমবার পুলিশ হেডকোয়াটার মামলা রুজুর অনুমতি দিয়ে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা পাওয়ার পরে গত মঙ্গলবার উজিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমির হোসেন বাদী হয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৭(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। কারাগারে থাকায় অভিযোগ সম্পর্কে প্রফুল্ল কুমার হালদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত দেয়ার অধিকার কারো নেই। সে গুরুতর অপরাধ করেছে। বর্তমান পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এটিই বরিশালের প্রথম মামলা।