গৌরনদী
কাউণ্টার নিয়ে বিরোধ \ গৌরনদীতে উপজেলা যুবদলের সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম, বরিশালের গৌরনদী বাসষ্ট্যাÐস্থ একটি বাস কাউন্টারের মালিকানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি শরীফ মো. সফিকুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করেছে পৌর ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা কর্মিরা। আহত যুবদল নেতাকে রক্ষা করতে এসে ছোট বোন উপজেলা মহিলালীগ কর্মি নাজমা আক্তার আহত হন। আহত যুবদল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বিকেলে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্র্শীরা জানান, গত ১০ বছর যাবত বরিশাল-কাঁঠালবাড়ী রুটের বিএমএফ পরিবহনের গৌরনদী বাসষ্টাÐস্থ কাউন্টার পরিচালনা করে আসছেন গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি শরীফ মো. শফিকুর রহমান। গত দুই মাস যাবত গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সদস্য আতিকুর রহমান মিয়া ওই কাউণ্টারের মালিকানা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হলে ইতোমধ্যে একাধিকবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি শরীফ মো. শফিকুর রহমানের নিযুক্ত শ্রমিক কাউণ্টার মাষ্টার মো. হাসানাত শরীফ (৩৩) অভিযোগ করেন, গত ২৫ দিন যাবত গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সদস্য মো. আতিক মিয়া ও সহযোগীরা প্রতিদিন কাউন্টারে হানা দিয়ে ক্যাশ থেকে জোর পূর্বক টাকা নিয়ে যান। এ যাবত প্রায় ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। বিষয়টি শরীফ সফিকুর রহমানকে জানানো হলে বৃহস্পতিবার সকাল পোনে বারটার দিকে কাউন্টারের মালিক শরীফ শফিকুর রহমান গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডেস্থ কাউন্টারে আসেন। এ খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা আতিক মিয়ার নেতৃত্বে ৮/১০ জন সহযোগী সফিকুর রহমানের উপর হামলা করে তাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ও সুপারি কাটা ছরতা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ক্যাস থেকে এক হাজার তিনশত ষাট টাকা ছিনিয়ে নেন। শরীফ সফিকুর রহমানের ছোট বোন উপজেলা মহিলালীগের সদস্য নাজমা আক্তার (৩৬) অভিযোগ করে বলেন, সফিকুর রহমানের ডাক চিৎকারে তাকে রক্ষায় আমি এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে। আহত শরীফ সফিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আমাকে কাউণ্টারটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন কিন্তু গত প্রায় এক মাস যাবত ছাত্রলীগ নেতা আতিক প্রতিদিন কাউণ্টারে এসে ক্যাস থেকে টাকা নিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার আমি টাকা নিতে বাধা দিলে আমার উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। স্থানীয়রা আহত সফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে অবনতি ঘটলে বিকেলে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর ছাত্রলীগ নেতা আতিক মিয়া বলেন, কাউন্টারের মালিকানা আমার এবং গত দুই মাস যাবত আমিই ভোগ দখল করে আসছি। ক্যাস ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। তাছাড়া হামলার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনায় শরীফ সফিকুর রহমানের বোন উপজেলা মহিলালীগের সদস্য নাজমা বেগম বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম বলেন, গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে অপ্রিকর ঘটনার এখনো কোন লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।