গৌরনদী
উজিরপুরের অভিযুক্ত সেই এএসআইকে প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকমঃ বরিশালের উজিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলামকে গতকাল রবিবার বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে উজিরপুর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এএসাাই প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত শিশির কুমার পাল। ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার অভিযোগে আটক যুবককে ছেড়ে দিতে এএসআই আমিনুল ইসলাম নিজের বিকাশ নম্বরে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, ভূক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ জানান, উজিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলাম উপজেলার শিকারপুর এলাকায় টহল থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে একই উপজেলার মুন্ডপাশা গ্রামের মৃত মোশারফ খানের পুত্র শামিম খান (৩০)কে আটক করে। এ সময় এএসআই আমিনুল ইসলাম যুবকের মাকে খবর পাঠিান পুত্র শামীম খানের পকেট তল্লাসী করে ৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
শামীমের মা বিধুবা হতদরিদ্র রেবা বেগম(৪৭) জানান, দারোগার কাছ থেকে খবর পেয়ে সে দারোগা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন। তখন আমিনুল ইসলাম তাকে জানান ৫০পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলা হলে পুত্র শামীমের ১৪ বছর জেল খাটতে হবে। ১১পিস ইয়াবা দিয়ে দিয়ে চালান দিলে সহজেই বের হয়ে আসতে পারবে। তবে এজন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। তার কাছে টাকা নেই জানালে দারোগা আমিনুল ইসলাম বিষয়টি গোপন রাখার শর্তে তার (দারোগার) ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর (০১৭১০-৭৮৮৯৭৫) দিয়ে বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলেন। রেবা বেগম সুদে পাঁচ হাজার টাকা এনে ওই বন্দরের রুবেল মিয়ার বিকাশ এর দোকান থেকে দারোগার দেয়া নম্বরে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম উজিরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হাসানকে তদন্তভার অর্পন করেন। আকরামুল হাসান জানান, গত শনিবার প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর উজিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলামকে গতকাল রবিবার বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে উজিরপুর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত শিশির কুমার পাল বলেন, গতকাল দুপুরে আমিনুল ইসলাম বরিশাল পুলিশ লাইনে যোগদান করেছে।