গৌরনদী
গৌরনদীতে নবম শ্রেনীর ছাত্রী অপহরনে মামলা, অপহৃতা উদ্ধার ও অপহরনকারী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ননের বোরাদী গরঙ্গল গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের কন্যা ও পিংলাকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী বিথি খানম(১৪)কে অপহরনের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে অপহৃতা চাচা মোঃ মজিবুর রহমান খলিফা। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে মামলার প্রধান আসামি অপহারকারী বখাটে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে। অপহৃতা ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা রবিবরন ও পুলিশ জানান, গৗরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ননের বোরাদী গরঙ্গল গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের কন্যা ও পিংলাকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী বিথি খানম(১৪)কে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের মো. কালু খলিফার পুত্র বখাটে ইব্রাহিম খলিফা(১৯) দীর্ঘ দিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। স্কুল ছাত্রীর চাচা মজিবুর রহমান জানান, গত ৩ জানুয়ারি স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটে ইব্রাহিম ভাতিজি বিথির পথরোধ করে গালাগাল করে এক পর্যায়ে কু-প্রস্তাব দেয় । এতে তার ভাতিজি রাজি বিথি রাজি না হলে তাকে অপহরনের হুমকি দেন। ঘটনার পর থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ বিথির স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছিল। পরবর্তিতে গ্রাম গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বখাটে ইব্রাহিমের বিচার করা হয়। এসময় বখাটে এইমর্মে মুচলেকা প্রদান করে যে, আর কোন দিন উত্যক্ত করবে না। এই বিচারের পর গত ১৮ ফেব্রæয়ারি থেকে বিথি পুনরায় স্কুলে যাওয়া শুরু করেন।
গত ২১ ফ্রেবুয়ারি সকালে তার ভাতিজি স্কুল থেকে একুশের অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বোরাদীগরঙ্গল ত্রিমুখি ব্রিজের পৌছলে বখাটে ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৬/৭ জন সন্ত্রাসী বিথির পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরন করে অটোরিকসায় তুলে নিয়ে যায়। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর চাচা মো. মজিবুর রহমান খলিফা বাদি হয়ে বখাটে ইব্রাহিমকে প্রধান আসামিসহ ৭জনকে আসামি করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বখাটে ইব্রাহিমের এক অত্মীয়র বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার ও ও অপহরনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই দিন স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও প্রধান আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।